দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে প্রচার-প্রচারণায় মুখোরিত গোটা এলাকা

মাইক ব্যবসায়ীদের মুখে হাসির ঝিলিক

বখতিয়ার হোসেন বকুল: দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে সকল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণায় মুখোরিত হয়ে উঠেছে গোটা এলাকা। আর এ নির্বাচনকে ঘিরে কয়েকদিনের জন্য হলেও মাইক ব্যবসায়ীরা তুলছেন তৃপ্তির ঢেকুর। মুখে দেখা মিলেছে হাসির ঝিলিক। ব্যস্ত সময় পার করছেন দোকান মালিকসহ কর্মচারীরা। বেলা ২টা বাজার আগেই মাইকের দোকানের সামনে ভিড় জমাচ্ছেন অধিকাংশ প্রার্থীর প্রচার যানবাহন। কেউ ইজিবাইক আবার কেউ সিএনজি নিয়ে হাজির হচ্ছেন। কে কার আগে প্রচারে বের হবে এ নিয়েও রয়েছে ভেতরে ভেতরে তুমুল প্রতিযোগিতা। ভাবটা এমন যেন কোনো মতেই তর সইছে না তাদের। গতকাল শুক্রবার দুপুরে বাজারের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ থাকলেও উপজেলা সদরের মাইকের দোকানের সামনে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

চশমা মার্কার প্রচার যানবাহন (সিএনজি) চালক খোকন জানান, প্রতিদিন চুক্তি মোতাবেক বেলা ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রচারকাজ পরিচালনা করা হয়। এ জন্য গাড়িভাড়াসহ মোট ৮শ টাকা করে চুক্তি করা হয়েছে। দামুড়হুদা বাজারের মাইক ব্যবসায়ী অনিকা মাইক সার্ভিসের মালিক নূর আলী জানান, আগে এলাকায় প্রচুর পরিমাণ ওয়াজ মাহফিল হতো। বর্তমানে এলাকায় আর আগের মতো ওয়াজ মাহফিল হয় না এবং বিয়ে শাদিতেও এখন আর আগের মতো কেউ মাইক ব্যবহার করে না। মাঝেমধ্যে কিছু সরকারি/বেসরকারি সভা সমাবেশ হয়। ফলে বছরের অধিকাংশ সময় কাজ থাকে না। দোকান কর্মচারীদের বেতন দেয়াও গাঁয়বাধা হয়ে পড়ে। তবে উপজেলা নির্বাচন এসে সে মন্দাভাব কেটে গেছে। আমার দোকানে ৪০টি মাইক সেট আছে। এর মধ্যে ৮টি সেট এ নির্বাচনীকাজে বুক হয়েছে। প্রতিসেট ২শ টাকা করে চুক্তি হয়েছে। দোকানের কর্মচারী খালিদ হাসান বেল্টু বলেন, ভাই দুপুরের সময় আমাদের একটু হিমশিম খেতে হচ্ছে। তারপরও ভালো লাগছে। দামুড়হুদা বাজারের অপর দু মাইক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী ও আব্দুস সালাম অভিন্ন ভাষায় বলেন, উপজেলা নির্বাচন এসে ব্যবসা ভালোই হচ্ছে।