আলমডাঙ্গা জাহাপুরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে ৯ম শ্রেণির ছাত্রীর অবস্থান

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: বিয়ের কথা বলে ডেকে নিয়ে ছিনতাইনাটক সাজিয়ে প্রেমিকার নিকট থেকে মোবাইলফোন, আংটি ও নগদ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে আলমডাঙ্গা কালীতলার প্রেমিক সোহেল। নিরুপায় প্রেমিকা পরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে ওঠে।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা শহরের কালীতলার সিরাজুল ইসলামের বিবাহিত ছেলে সোহেল ২/৩ মাস ধরে মোবাইলফোনে জাঁহাপুর গ্রামের তোতার ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে সুবর্ণার সাথে প্রেমসম্পর্ক গড়ে তোলে। গতকাল শুক্রবার সকালে সোহেল সুবর্ণাকে বিয়ে করবে জানিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে আসতে বলে। প্রেমিকের কথা মতো সুবর্ণা বাড়ি থেকে বের হয়ে ঘোলদাড়ি বাজারে পৌঁছুলে তাকে ঘোলদাড়ি বাজার থেকে আলমডাঙ্গায় নিয়ে যায়। আলমডাঙ্গা হাউসপুর এলাকার আটকপাট নামক স্থানে ৩/৪ জন যুবক তাদের দিকে ছুটে গেলে প্রেমিক সোহেল প্রেমিকাকে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে অজ্ঞাত যুবকেরা সুবর্ণাকে ধর্ষণের অপচেষ্টা চালায়। তাকে মারধর করে তার ব্যবহৃত মোবাইলফোন, সোনার আংটি ও নগদ টাকা কেড়ে নেয়। সর্বস্ব হারিয়ে সুবর্ণা বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে ওঠে। ঘটনা জানানো হলে সুবর্ণার পিতা-মাতাও ছুটে আসেন। এদিকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে প্রেমিক ও তার পিতা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।

এদিকে প্রেমিক সোহেল সম্পর্কে এলাকাবাসী জানায়, ইতোপূর্বে সে প্রেম করে বিয়ে করা সত্ত্বেও সে বহু মেয়ের সাথে মোবাইলফোনে প্রেমসম্পর্ক গড়ে তুলেছে। সে বেশ কয়েকজন উঠতি বয়সী ছেলে নিয়ে একটি চক্র গড়ে তুলেছে বলে অনেকে জানিয়েছেন। সুদর্শন সোহেল মোবাইলফোনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বহু মেয়ের সর্বনাশ করেছে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমিকাকে ডেকে নিয়ে নিজের ছিনতাইকারী দলের হাতে তুলে দেয়। এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা এলাকার মানুষ জেনে গেছে। গতকাল পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও এ বিষয়ে মামলা হয়নি। বিকেলে নাগদাহ ইউপি চেয়ারম্যান দারুস সালাম প্রেমিকা সুবর্ণাকে বাড়ি নিয়ে যান।