জেলা প্রশাসক বললেন সবার আগে স্কুল, তারপর কোচিং
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন বলেছেন, সবার আগে স্কুল, তারপর কোচিং। বিদ্যালয়ে না এসে যারা কোচিঙে দৌঁড়াদৌঁড়ি করে বেড়ায় তারা পরীক্ষায় পাস করলেও প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়। তাই শিক্ষার্থীদেরকে কোনোভাবেই স্কুলে অনুপস্থিত থাকা চলবে না। এজন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদেরকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
গতকাল শনিবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শরীফ উদ্দিন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক আরও বলেন, মানসিক সুস্থতার জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকতে হবে। এতে মানসিক বিকাশ ঘটবে এবং আজকের ছাত্ররা আগামী দিনের সুনাগরিক হয়ে উঠবে। বিদ্যালয়ের সুনামকে ছড়িয়ে দিতে এসএসসি, জেএসসি পরীক্ষার্থীসহ প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে পড়াশোনার প্রতি আরো মনোযোগী হতে হবে।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন- চুয়াডাঙ্গা আদর্শ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল লতিফ, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজুল হোসেন, জেলা শিক্ষক-অভিভাবক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোত্তালিব, সাবেক সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান, আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর হোসেন, সীমান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিসেস মাহজেবীন, ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস আরাসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থী এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন- বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গোলাম মোর্শেদ ও জাহিদ হোসেন বিশ্বাস।
অনুষ্ঠানে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও বিদ্যালয়ের তৃতীয় থেকে নবম শ্রেণিন বার্ষিক পরীক্ষায় প্রথম থেকে তৃতীয় স্থান অধিকারীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।