মোমিনপুর প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গা কৃষক শহিদ হত্যামামলা নিয়ে এতোদিন পরে নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দিনব্যাপি আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কুষ্টিয়া এবং ঝিনাইদহের কয়েকটি স্থানে অভিযান চালালেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে শহিদ হত্যামামলায় আইনগত সহায়তা পাওয়ার জন্য গতকাল মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা জেলা লোকমোর্চার নিকট মামলার বাদী লিখিত আবেদন করেছেন।
শহিদ হত্যামামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলমডাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) নাজমুল হুদা জানান, গোপনসূত্রে জানতে পারি, শহিদ হত্যামামলার ১১ আসামির মধ্যে তিন আসামি মোজাম্মেল, দুদু ও মধু কুষ্টিয়ার চৌড়হাসে অথবা ঝিনাইদহের আরাপপুরে একটি বাড়িতে অবস্থান করছে। এ মর্মে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রথমে কুষ্টিয়ার চৌড়হাস মোড়ে একটি বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। পরে ঝিনাইদহের কয়েকটি স্থানে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে আসামিদের গ্রেফতারের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
শহিদ হত্যামামলার আইনগত সহায়তা পাওয়ার জন্য গতকাল মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা জেলা লোকমোর্চার নিকট মামলার বাদী লিখিত আবেদন করেছেন। জেলা লোকমোর্চার সভাপতি অ্যাড. আলমগীর হোসেন বলেন, শহিদ হত্যামামলার আসামিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ আইনগত সব ধরনের সহায়তা আমরা দেবো।
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ গ্রামের উত্তরপাড়ার জমি রেজিস্ট্রি করা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয় বিক্রেতা আপিল মণ্ডলের দু ছেলে সাদ আলী ও হোসেন আলীর সাথে জমিক্রেতা ছোটর। বিক্রেতার দু ছেলে আরো টাকা দাবি করলে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে গ্রামে সালিসসভার আয়োজন করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, এ সালিসে জমিক্রেতা ছোটর ভাড়া করা মোজাম্মেল, মহাবুল, টেংরা, আতিয়ার, রসূল, কটা, ধনা, দুদু, নজরাসহ কয়েকজন দু ভাই সাদ ও হোসেন আলীকে না পেয়ে তাদের চাচাতো ভাই শহিদকে তার বাড়ির উঠোনে স্ত্রী-সন্তানদের সামনে মারধর করে দলেচটকে গলা টিপে নৃশংসভাবে হত্যা করে।