স্টাফ রিপোর্টার: খুলনা ও যশোরে গত সোমবার রাতে যৌথবাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে দুজন নিহত হয়েছেন। খুলনায় নিহত হয়েছেন পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী তৌহিদুল ইসলাম সবুজ (২৮)। তিনি নিষিদ্ধ চরমপন্থি দল পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির (এমএল) প্রধান শিমুল ভূঁইয়ার সেকেন্ড ইন কমান্ড। যশোরে নিহত হয়েছেন সন্ত্রাসী মেজবাহ বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড রবিউল ইসলাম রবি (৩৪)।
খুলনার সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) আব্দুল কাদের বেগ জানান, তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও ৯টি হত্যা মামলার আসামি সবুজকে সোমবার সন্ধ্যায় ফুলতলা উপজেলার দামোদর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাকে ফুলতলা থানায় রেখে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি গোপন অস্ত্রভাণ্ডারের তথ্য প্রদান করেন। রাতে তাকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে উপজেলার ছাতিয়ানতলা এলাকায় পৌঁছুলে আগে থেকে ওত পেতে থাকা সহযোগীরা সবুজকে ছিনিয়ে নেয়ার উদ্দেশে গুলি চালায়। আত্মরক্ষায় যৌথবাহিনীও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে সবুজকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিত্সক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে ১টি বন্দুক, ১টি পিস্তল, ১৫ রাউন্ড বন্দুকের গুলি, ৪ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ৬টি বোমা ও ২টি রামদা উদ্ধার করেছে।
নিহত সবুজ ফুলতলা উপজেলার দামোদর গ্রামের সেলিম শেখের ছেলে। আব্দুল কাদের বেগ আরো জানান, সবুজের বিরুদ্ধে খুলনা এবং পার্শ্ববর্তী যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলায় নয়টি হত্যাকাণ্ড ও ২টি অস্ত্র মামলাসহ এক ডজন মামলা রয়েছে।
যশোরের অভয়নগর থানার ওসি খবিরউদ্দীন মোল্লা জানান, সোমবার দুপুরে পুলিশ রবিউলকে আটক করে। রাত ২টার দিকে রবিউলের দেয়া তথ্যমতে যৌথবাহিনী তাকে নিয়ে জিয়াডাঙ্গা গ্রামে অস্ত্র উদ্ধারে যায়। এ সময় তার সহযোগীরা যৌথবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করলে এসআই মোক্তার হোসেন, কনস্টেবল মনিরুল ও আনোয়ার আহত হন। আত্মরক্ষার্থে যৌথবাহিনীও পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। পালিয়ে যাওয়ার সময় রবিউল গুলিবিদ্ধ হয়। রবিউলকে হাসপাতালে নিলে কতর্ব্যরত চিকিত্সক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মারা যাবার আগে রবিউলের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জিয়াডাঙ্গা গ্রামের একটি বাঁশবাগান থেকে ১টি পিস্তল ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। নিহত রবিউল অভয়নগর উপজেলার মাগুরা গ্রামের আব্দুর রবের ছেলে। প্রেমবাগ ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম মান্নু জানান, রবিউল বিএনপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন। অভয়নগর থানার ওসি মোল্লা খবির উদ্দিন জানান, তার নামে থানায় একটি ছিনতাই মামলা রয়েছে।