মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ মহকুমার গাইঘাটা থানার খেদপাড়া সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশি দু তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। সম্পর্কে তারা বোন। গত শনিবার এ ঘটনা ঘটে বলে পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের কাছে ওই দু তরুণী দাবি করেন, তাদের বাড়ি চট্টগ্রামে। তাদের বাবা নেই। এক আত্মীয় পার্লারে চাকরি দেয়ার কথা বলে তাদের মুম্বাই যাওয়ার সব ব্যবস্থা করেন। সীমান্ত পার হওয়ার জন্য নৌকাও ঠিক করে দেন ওই আত্মীয়। পুলিশের কাছে শনিবার ১৮ ও ২০ বছর বয়সী দু বোন বলেন, বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর সীমান্ত এলাকা থেকে ইছামতী নদী পার হওয়ার জন্য এক দালালের সাথে নৌকায় ওঠেন। মাঝি নদী পার করে ওই দু তরুণী ও দালালকে সীমান্ত পার করে দিতে হাঁটতে থাকেন। রাতে মাঝি ও দালাল দু বোনকে ধর্ষণের পর ফেলে চলে যান। বনগাঁর পুলিশ কর্মকর্তা রূপান্তর সেনগুপ্ত বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ওই মাঝি ও দালাল বাংলাদেশের নাগরিক। কীভাবে তাঁদের খোঁজ মিলতে পারে, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় দু তরুণীকে পড়ে থাকতে দেখে গাইঘাটার আংড়াইল বর্ডার আউট পোস্টে টহলরত বিএসএফ জওয়ানরা তাদের উদ্ধার করেন। ওই রাতে স্থানীয় মহিলা পুলিশ ক্যাম্পে তাদের রাখা হয়। গত রোববার ভোরে বিএসএফ জওয়ানরা তাদের গাইঘাটা থানায় রেখে আসে। তাদের বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গাইঘাটা থানায় ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ মামলা করেছে। বনগাঁর মহকুমা পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ডাক্তারি পরীক্ষার পর তাদের সরকারি হোমে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।