মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়ন অফিসে ঢুকে অফিস ভাঙচুর ও ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা নয়নের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বক্তারা বলেন, অভিযুক্ত শিলন ও মঈন যুবলীগের কেউ নয়। যুবলীগের নাম ভাঙিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ইউনিয়ন যুবলীগ তার দায়ভার নেবে না।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়ন যুবলীগ অফিস ভাঙচুর ও যুবলীগ অফিসে ঢুকে অন্যায়ভাবে যুবলীগ নেতা নয়নের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। জেহালা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আকরাম আলী ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল তিতুমীর স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগে জানান, গত ১৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় জেহালা দায়পাড়ার মৃত দিদার আলীর ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য নয়ন ইউনিয়ন যুবলীগ অফিসে বসে ছিলো। নয়নকে হত্যার উদ্দেশে গড়চাপড়া গ্রামের মৃত ইসলামের ছেলে শিলন ও হৈদারপুর গ্রামের রিয়াজের ছেলে মঈনের নেতৃত্বে গড়চাপড়া গ্রামের মৃত সহিদের ছেলে আলী, লিয়াকতের ছেলে সোহাগ, একই গ্রামের কামাল, রানা ও গড়গড়ি গ্রামের সুমন, রোয়াকুলি গ্রামের আলমগীরসহ ৮/১০ জন লোহার রড, শাবল, চাপাতি, রাম দা, ছুরি, বাঁশের লাঠি ও কাঠের বাটামসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দলীয় অফিস ভাঙচুর ও যুবলীগ নেতা নয়নের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে মারাত্মক আহত করে। স্থানীয়রা ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়। নয়নকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। তার অবস্থা গুরুতর। দলীয় অফিস ভাঙচুর ও যুবলীগ নেতা নয়নের ওপর সন্ত্রাসী হামলার দোষিদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হাসান কাদির গনু, সহসভাপতি আমিরুল ইসলাম মন্টু, জেহালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন, জেহালা ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আকরাম আলী, সহসভাপতি আক্তারুজ্জামান সুমন, সাধারণ সম্পাদক সোহেল তিতুমীর, সহসাধারণ সম্পাদক হিরালাল দোবে, সাংগঠনিক সম্পাদক সন্টু, বাবন, মস্তফা, হিরো, রঈদুল, অশোক, আহসান হাবীব বাবু, আলামিন, ছাত্রনেতা বিপ্লব, রাজা, রতন, আনারুল, ইব্রাহীম খলিল প্রমুখ।