স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহে ইসলমী আন্দোলন শাসনতন্ত্রের বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আগামী ৫ জানুয়ারি প্রহসনের নির্ভাচন বাতিলের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিলটি শহীদ হাসান চত্বর থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় শহীদ হাসান চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের ইসলামী আন্দোলনের মনোনীত সম্ভাব্য প্রার্থী আলহাজ আবুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তিনি বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, দেশের মানুষ আজ সম্পূর্ণ নীরাপত্তাহীন, ব্যবসায়ীর ব্যবসা আজ হুমকির মুখে, পরিবহনসহ দেশের কোটি কোটি টাকার সম্পদ আজ পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ আজ আতঙ্কগ্রস্ত আর সরকারের মন্ত্রীরা তামাশার হাসি হাসছেন। এ সরকার দেশের জনগণের রায় উপেক্ষা করে সম্পূর্ণ একদলীয়ভাবে প্রহসনের নির্বাচন করতে যাচ্ছে আগামী ৫ জানুয়ারি। এ প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সংগঠনের জেলা সেক্রেটারি ডা. মো. জিনারুল ইসলাম বলেন, ক্ষমতার মোহে প্রধানমন্ত্রী দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে দেশের জনগণ তাকে ভোট দেবে না। তাই তিনি ক্ষমতা না ছেড়ে নিজের ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করছেন। যে নির্বাচনে দেশের সিংহভাগই দলের অংশগ্রহণে থাকবে না। দেশের জনগণের ভোট না নিয়েই অর্ধেকের বেশি প্রার্থী নির্বাচিত হয়। সে নির্বাচন নিঃসন্দেহে প্রহসন বা তামাশার নির্বাচন ছাড়া আর কিছু নয়। তাই প্রহসেনর পথ পরিহার করে আগামী ৫ তারিখের নির্বাচন বন্ধ করে পুনরায় নির্বাচনী তফশিল ঘোষণা করে আহ্বান জানান। আগামী ৫ তারিখের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করার জন্য দেশের ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মো. হাসানুজ্জামান, মাও. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
ঝিনাইদহ অফিস জানিয়েছে, ২৭ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের অনুমতি না দেয়ার প্রতিবাদে ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করার ঝিনাইদহে মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। তবে পুলিশের বাধায় মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বরে সমাবেশ করেন নেতাকর্মীরা। বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি শরাফত হোসেন জোয়ারদার, সাধারণ সম্পাদক শিহাবুল ইসলাম, ডা. মমতাজুল করিম, মাওলানা রুহুল আমিন ও মনিরুল ইসলাম। বক্তারা ২৭ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের অনুমতি না দেয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করার দাবি জানান। সমাবেশ শেষে দলটির নেতাকর্মীরা মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়।