আলমডাঙ্গার চাতালমোড় থেকে শিশুসন্তানসহ জয়রামপুরের গৃহবধূকে অপহরণ

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার চাতালমোড় থেকে শিশুসন্তানসহ এক গৃহবধূকে অপহরণ করা হয়েছে। গত শুক্রবার সকালে চাতালমোড়ের নিকটবর্তী শেফা ক্লিনিক থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান সড়কে যাওয়ার পথে তাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, জয়রামপুরের আলী হায়দারের স্ত্রী ২ সন্তানের জননী কামরুন্নাহার বীণা (৩২) গত শুক্রবার সকালে জয়রামপুর থেকে আলমডাঙ্গায় যান শেফা ক্লিনিকে সাড়ে ৪ বছরের মেয়ে তাসনিমকে চিকিৎসার জন্যে। সকাল ৯টার দিকে শেফা ক্লিনিকে পৌঁছান। সে সময় তিনি বেলগাছি গ্রামে ফোন করে ভাইয়ের বউকে জানান যে তিনি আলমডাঙ্গায় এসেছেন। সকাল ১০টার দিকে তিনি আবারো ফোন করে জানান যে ডাক্তার দেখানো হয়ে গেছে, তিনি এখনি পৌঁছে যাবেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও বীণা খাতুন আর ভাইয়ের বাড়ি যায় নি। উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন তার ভাই। ফোন করলে বোনের ফোন বন্ধ পেয়ে তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তিনি ছুটে যান শেফা ক্লিনিকে। সেখানে খুঁজে না পেয়ে দিনভর আত্মীয়-স্বজন মিলে সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরদিন সকাল ৯টার দিকে বীণা বেগমের স্বামীর মোবাইলফোনে ০১৮৫৫৪৮৩৭৬৭ নম্বর থেকে একটি মেসেজ আসে “তুই আমাকে গালি দিয়েছিলি। তোর বউ আর মেয়েকে কিডন্যাপ করেছি। তুই পারলে উদ্ধার কর।” এ মেসেজ পাওয়ার পর থেকে ভেঙে পড়েন তার পরিবারের লোকজন। ছুটে যান থানায়। বীণা বেগমের স্বামী এ বিষয়ে থানায় জিডি করেছেন। বীণা বেগমের স্বামী আলী হায়দার জানিয়েছেন, তার গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ আছে। কিন্তু স্ত্রী-সন্তান কিডন্যাপের মতো ঘটনা ঘটানোর কথা তিনি চিন্তা করতে পারছেন না। এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, জিডির পর থেকেই পুলিশ আন্তরিকভাবে শিশুসহ মহিলাকে উদ্ধারের জন্য কাজ করছে। মোবাইলফোন ট্র্যাকিঙের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই মেসেজ প্রদানকারীর অবস্থান শনাক্ত করতে পেরেছেন।