মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গা মুন্সিগঞ্জ গড়চাপড়া গ্রামের স্কুলছাত্রী সাথী মৃত্যুর সাথে লড়ে গতকাল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে। মৃত্যুটি রহস্যজনক বলে এলাকাবাসী দাবি করলেও স্কুলছাত্রীর পিতা-মাতার কোনো অভিযোগ নেই।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়নের গড়চাপড়া গ্রামের মাঠপাড়ার শামসুলের মেয়ে মুন্সিগঞ্জ বালিকা বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী এসএসসি পরীক্ষার্থী সাথী খাতুন (১৫) গত বৃহস্পতিবার আলমডাঙ্গার গোবিন্দপুর গ্রামের নানা শাহাবুদ্দিনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয়। মুন্সিগঞ্জ মোদন বাবুর মোড় থেকে আলমডাঙ্গা হাউসপুরের নাসির নামের একটি ছেলের মোটরসাইকেলের পেছনে ওঠে। বন্ডবিল নামক স্থানে এলে বেপরোয়া গতিতে চালানো মোটরসাইকেলের পেছন থেকে মুখ থুবড়ে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয় সাথী। অবস্থা বেগতিক দেখে কথিত মোটরসাইকেল চালক নাসির সটকে পড়ে। রাস্তার ওপর পড়ে থাকে আহত স্কুলছাত্রী। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হারদী হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন। সংবাদ পেয়ে সাথীর পিতাসহ আত্মীয়স্বজন কুষ্টিয়া হাসপাতালে উপস্থিত হন। এ সময় সাথীর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরন করে সাথী। গতকালই বিকেল পৌনে ৪টার দিকে লাশ গড়চাপড়া গ্রামে পৌঁছুলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। গ্রাম জুড়ে চলতে থাকে শোকের মাতম। সাথীর সহপাঠীসহ অনেকেই তার মৃতদেহ শেষবারের মতো দেখতে ভিড় জমায়। এ ব্যাপারে সাথীর পিতা শামসুলের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার মেয়ে কীভাবে মরেছে আমি দেখিনি। আমার কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। গতকাল সন্ধ্যায় গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।