দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধিনে ওয়ার্ডভিত্তিক কর্মী নিয়োগ
স্টাফ রিপোর্টার: স্বামীর স্থায়ী ঠিকানার বদলে পিতার বাড়ির ঠিকানা ব্যবহার করে বিপাশা হায়াতের বিরুদ্ধে সরকারি চাকরি নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তিনি দামুড়হুদা কুড়ুলগাছি গ্রামের সেনা সদস্য মকলেছুর রহমানের স্ত্রী হলেও পিতার ঠিকানা ফকিরপাড়া ব্যবহার করে নিয়েছেন।
অভিযোগকারী দামুড়হুদার ফকিরপাড়া বদর উদ্দেনের মেয়ে সাহিদা সুলতানা জানান, সম্প্রতি পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে অধীনে ওয়ার্ডভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ নিয়োগের প্রার্থী হিসেবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় নিজ ওয়ার্ডে স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। অথচ বিপাশা নিজের স্থায়ী ঠিকানা গোপন করে পিতার বাড়ি ঠিকানা দিয়ে সরকারি চাকরির সুযোগ নিয়েছেন। তদন্ত করলে এর প্রমাণ মিলবে বলেও দাবি করেছেন অভিযোগকারী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীনে ওয়ার্ডভিত্তিক কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। এ নিয়োগের জন্য আবেদন করেন ফকিরপাড়ার সামছুল হকের মেয়ে বিপাশা হায়াত। বিপাশা হায়াতের প্রায় ৮ বছর আগে বিয়ে হয় দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি গ্রামের মৃত ফকির মোহাম্মদের ছেলে মকলেছুর রহমানের সাথে। সে সুবাদে বিপাশা হায়াত কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ভোটার তথা সেখানকার স্থায়ী নাগরিক। কিন্তু বিপাশা হায়াত নিজে স্থায়ী ঠিকানা গোপন করে জাতীয় পরিচয়পত্র জাল করে পিতার বাড়ির ঠিকানার কাজগপত্র দিয়ে দিয়ে সরকারি কর্মকর্তা সাথে প্রতারণা করে নিয়োগ গ্রহণ করেছেন। যা আইনের বহির্ভূত। এ ব্যাপারে বিপাশা হায়াতের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দামুড়হুদা ফকিরপাড়ার স্থায়ী ঠিকানার কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। তিনি বলেন, এটা আমার অফিস দেখবে। বিপাশা হায়াত স্থায়ী ঠিকানা জাল করে যে নিয়োগে গ্রহণ করেছে তা বাতিল করে তার বিরুদ্ধে আইনুগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে গ্রামবাসী।