বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা গোষ্টবিহারের সংগ্রামী নাজমা ঢাকায় জীবনযুদ্ধে জয়ী হলেও স্বামীর নির্যাতনে শেষ পর্যন্ত লাশ হয়েছে। নাজমার লাশ ঢাকা থেকে তার পিতার গ্রাম গোস্টবিহারে নিয়ে দাফন করলেও অবরোধের কারণে নিকটজনেরা ঢাকায় গিয়ে মামলা করতে না পেরে ক’দিন ধরেই ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের তিতুদহ ইউনিয়নের গোষ্টবিহার গ্রামের হতদরিদ্র আলম আলীর মেয়ে নাজমা ৬ বছর আগে ঢাকায় পাড়ি জমায়। অভাব ঘোঁচাতে ঢাকায় শুরু হয় জীবযুদ্ধ। ঢাকা মিরপুরের রে-অ্যামব্রয়ডারিতে চাকরি নেয়। পরিচয় হয় চাঁদপুরের হাজিগঞ্জের পাতানিশা গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে আজাদের সাথে। গতবছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করে তারা। বিয়ের কিছুদিনের মাথায় আজাদের মুখোশ কলে। সে যৌতুকের দাবি তোলে। নানা অজুহাতে নির্যাতন শুরু করে। এরই এক পর্যায়ে গত ২ ডিসেম্বর রোববার সকাল ৮টার দিকে ঢাকার বাইটেক ১৭/৫ নং বাসায় লাশ হয় নাজমা। আজাদ সেখানে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে নাজমার পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেছে। তারা বলেছে, লাশ উদ্ধারের পর আজাদকে পুলিশ না পেয়ে তার একভাইকে আটকও করে। ময়নাতদন্ত করিয়ে গোষ্টবিহারে নিয়ে দাফন করা হলেও অবরোধের কারণে মামলার আর খোঁজ নেয়া হয়নি। আইনগত ব্যবস্থা নিতে না পেরে নাজমার পিতাপক্ষের লোকজন কয়েকদিন ধরেই ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে। অবরোধের কারণেই তারা ঢাকার পথে রওনা হতে পরেনি।