চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষার মান কিছুটা হলেও বেড়েছে। মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তির যোগ্যতা অর্জনে কিছুটা হতাশ হলেও দেশের সরকারি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তিযুদ্ধে শিক্ষার্থীরা আশার আলো জাগিয়েছে। যদিও ভর্তির আসন সংখ্যা অনুপাতে চুয়াডাঙ্গা এখনও অনেকটাই পিছিয়ে।
শিক্ষার প্রতিযোগিতাপূর্ণ সুষ্ঠু পরিবেশ শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় মনোনিবেশে আন্তরিক করে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষকমণ্ডলীর আন্তরিকতা ও অভিভাবকদের দায়িত্বশীলতা শিক্ষার্থীদের অগ্রযাত্রায় সহায়ক। সর্বক্ষেত্রেই যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখার মতো শিক্ষাদান ও গ্রহণে উভয়কেই আন্তরিক হতে হয়। কঠোর অধ্যবসায়ের বিকল্প নেই। পরিশ্রম সৌভাগ্যের চাবিকাঠি। কিন্তু সেই পরিশ্রম যদি যথাস্থানে যথাযথ না হয়? এ জন্যই প্রয়োজন শিক্ষকমণ্ডলীর দূরদর্শিতা। সময়পোযোগী পদক্ষেপ। উপযোগী শিক্ষা পেলেই তো শিক্ষার্থী উপযোগী হবে। শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য অবশ্যই দক্ষ শিক্ষক প্রয়োজন। প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিযুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার ঔজ্জ্বল্যের আড়ালে দক্ষ শিক্ষক, শিক্ষার পরিবেশ গড়ে ওঠারই সুফল। যদিও পিএসসি, জেএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে আত্মঘাতী।
শিক্ষার মান বেড়েছে, বাড়ছে। এতে তৃপ্তির ঢেকুর তোলার কারণ নেই। শিক্ষাদান ও গ্রহণ এবং শিক্ষার মান বৃদ্ধির চলমান প্রক্রিয়া। প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিযুদ্ধে এবারের সফলতা নিশ্চয় শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করবে। শিক্ষার মান বৃদ্ধি চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের উন্নয়নে সহায়ক। বয়ে আনবে কল্যাণ।