মাথাভাঙ্গা মনিটর: সুপার ওভারের উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে লায়ন্সকে হারালো নিউজিল্যান্ড ঘরোয়া চ্যাম্পিয়ন ওটাগো ভোল্টস। নির্ধারিত ২০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান তোলে লায়ন্স। আর জিমি নিশামের ব্যাটে সাত উইকেট হারিয়ে সমতায় ফেরে ওটাগো। সুপার ওভারে বিনা উইকেটে ১৩ রান তোলে তারা। জবাবে দুটি উইকেট হারিয়ে জয় তুলতে ব্যর্থ হয় লায়ন্স। ম্যাচসেরা পারফরমেন্স করে দলের দ্বিতীয় জয় নিশ্চিত করেন নিশাম। লায়ন্স: ১৬৭/৪ (২০ ওভার), ওটাগো ভোল্টস: ১৬৭/৭ (২০ ওভার), ফল: সুপার ওভারে জয়ী ওটাগো ভোল্টস। তিন ম্যাচ শেষে ১০ পয়েন্ট নিয়ে এ গ্রুপের শীর্ষে ওটাগো। আর চতুর্থ ও শেষ ম্যাচেও হেরে মাত্র দুই পয়েন্ট নিয়ে দেশে ফিরছে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্লাব লায়ন্স।
গতকাল রোববার জয়পুরে লায়ন্স ওপেনার কুইন্টন ডি কক হার না মানা শতক গড়ে বেশ কঠিন লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছিলেন ওটাগোকে। ৬৩ বলে ১০ চার ও পাঁচ ছয়ে ১০৯ রানে অপরাজিত ছিলেন কক। এছাড়া জিন সাইমেস ২০, ওপেনার রাসি ভ্যান ডার ডুসেন ১৭ ও তেম্বা বাভুমার ১৩ রান উল্লেখযোগ্য লায়ন্সের দলীয় সংগ্রহে।
নিক বিয়ার্ড ওটাগোর পক্ষে দুটি উইকেট নেন। লক্ষ্যে নেমে ২৭ রানের মধ্যে দুই উইকেট হারায় ওটাগো। তবে হামিশ রাদারফোর্ডকে নিয়ে ডেরেক ডি বুর্ডারের ৫১ রানের জুটিতে রক্ষা পায় তারা। দুজনেই সমান ৩২ রানে সাজঘরে ফেরেন। এ জুটি ভাঙলে আবার বিপদে পড়ে দলটি।
শেষ পর্যন্ত নিশামের ব্যাটে জয়ের আশা বেঁচে ছিলো ওটাগোর। ইনিংসের শেষ ওভারে ১১ রান প্রয়োজন হলে নেইল ওয়াগনারকে নিয়ে সমতায় রেখে শেষ করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ২৫ বলে দুই চার ও চার ছয়ে ৫২ রানে টিকে ছিলেন নিশাম। লোনওয়াবো সোতসোবে ও ইমরান তাহির দুটি করে উইকেট নেন লায়ন্সের হয়ে। সুপার ওভারে আগে ব্যাট করতে নামে ওটাগো। ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে ও নিশাম জুটিতে ভর করে ১৩ রান সংগ্রহ করে তারা। জবাবে প্রথম দুই বলে চার ও ছয় হাঁকালেও নিশামের কাছে দুটি উইকেট হারিয়ে ১৩ রানে থামে লায়ন্স।