বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার কুন্দিপুর গ্রামে বন্ধকি জমির ধানকাটা নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। পাল্টাপাল্টি মামলায় আসামির সংখ্যা ১৯ জন। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে বন্ধকি জমির ধানকাটা নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের কুন্দিপুর বেলেমাঠপাড়ায়। এতে আ.মান্নানের পক্ষে রক্তাক্ত জখম হয় স্ত্রী জমিলা (৫০), ছেলে ইছাহাক (২৫), হোসেন (৩২), ইছা (২৫) ও মেয়ে মনোয়ারা (২২)। অপরদিকে সৈয়দ আলীর পক্ষে জখম হয় সৈয়দ আলী (৬৫), ছেলে হাবু (৪০), বিল্লাল (৩৫), ফারুক হোসেন (২৫) বিল্লালের স্ত্রী মলিনা খাতুন (৩০), হাবুর স্ত্রী পারুলা খাতুন (৩৫), ফারুকের স্ত্রী আছমা বেগম (২২) সৈয়দ আলীর বেয়ায় জলিলের ছেলে আইয়ুব আলী (৪৫) ও এক আত্মীয় ছাবিনা (৩০)। আহতদের উদ্ধার করে নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। এদের মধ্যে মান্নানের ছেলে ইছাহাক ও হোসেন এবং সৈয়দ আলীর পক্ষের আইয়ুব আলীর অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাদেরকে নেয়া হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আহতদের মধ্যে ইছাহাক ও হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে গ্রামসূত্রে জানা গেছে।
গ্রামসূত্রে আরও জানা গেছে, মুছা সৈয়দ আলীর জামাই থাকাকালীন সময় ওই জমিতে সে চাষ করতো। সৈয়দ আলীর মেয়ে ঝর্ণার সাথে বিয়ে বিচ্ছেদ হওয়ার সময় মুছার ৩০ বস্তা ভুট্টা ও একটি গরু সৈয়দ আলী রেখে দেয়। সে হিসেবে মুছা ওই জমিতে নিজের লাগানো ধান কাটতে যায়।
এদিকে মুছার জামাতা নেই তাই সৈয়দ আলী জমি দিলেও ধান কাটতে বাঁধা দেয়। সৈয়দ আলী প্রভাবশালী হওয়ায় অনেকটা জোরপূর্বক ওই জমির ধান কাটতে দেয়নি মুছাকে। এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় সৈয়দ আলীর ছেলে জামাল হোসেন বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে দায়ের করেছেন মামলা। অপরদিকে আ.হান্নানের বেয়ায় শফিউল্লা বাদী হয়ে ১০ জনের নামে দায়ের করেছেন মামলা। এ ঘটনায় পুলিশ গতকাল শুক্রবার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আ.মান্নানের স্ত্রী জমিলাকে (৫০) গ্রেফতার করেছেন। ঘটনার পর থেকে উভয় পরিবারের লোকজন বাড়ি ছাড়া বলে জানা গেছে।