গাংনীর বামন্দী আইডিয়ালের পরিচালক বজলু ও জিএম মিজানুর গ্রেফতার

গ্রাহকের আমানতের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় ৫টি মামলা

 

গাংনী প্রতিনিধি: গ্রাহকের লগ্নিকৃত অর্থ আত্মসাত করে আত্মগোপনে থাকা মেহেরপুরের আইডিয়াল সেভিংস অ্যান্ড ক্রেডিট কো-অপারেটিভ লিমিটেডের পরিচালক বজলুর রহমান ও জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে গাংনী থানা রোড এলাকা থেকে গাংনী থানার উপসহকারী পরিদর্শক (এএসআই) মাজেদুল ইসলাম সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যদের নিয়ে তাদের গ্রেফতার করেন। গ্রাহকদের দায়ের করা ৫টি প্রতারণা মামলায় এদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে বলে জানিয়ে পুলিশ।

গাংনী থানাসূত্রে জানা গেছে, মেহেরপুর জেলা শহর, গাংনী ও বামন্দীসহ আশেপাশের জেলাগুলোতে আইডিয়ালের নামে অফিস স্থাপন করে গত দু বছর ধরে কয়েক হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করে আইডিয়াল। চলছিলো ঋণ কার্যক্রম। চলতি বছরে মাঝামাঝি সময়ে কয়েকটি সংস্থার পরিচালকরা অর্থ নিয়ে পালিয়ে গেলে এর প্রভাব পড়ে আইডিয়ালের ওপরে। সংস্থাটির কর্মকর্তাদের দাবি, একই সাথে হাজারো গ্রাহক আমানত ফেরতের জন্য চাপ দেয়। ফলে অনেক গ্রাহকের টাকা ফেরত দেয়া হলেও আইডিয়ালের দেয়া ঋণের টাকা গ্রাহকদের কাছেই থেকে যায়। একদিকে আমানত ফেরত অন্য দিকে ঋণের টাকা তুলতে না পারায় বিপাকে পড়ে সংস্থাটি। বিভিন্ন স্থানের অফিস বন্ধ করতে বাধ্য হয় আইডিয়াল। এতে নিরাস হন গ্রাহকরা। অনেকেরই শেষ সম্বল আইডিয়ালে সঞ্চয় করে পথে বসার উপক্রম হয়। ফলে গ্রাহকদের মাঝে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভ দানা বেধে ওঠে। সম্প্রতি মেহেরপুর শহর ও গাংনী এলাকার ৫ জন গ্রাহক মেহেরপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতারণা মামলা দায়ের করেন। পাঁচটিতেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ও বজলুর রহমানের অস্থায়ী সম্পদ জব্দ করে পুলিশ হেফাজতে নেয়ার নির্দেশ দেন আদালত। এর প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান, গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাছুদুল আলম।

এদিকে গতকাল বিকেলে বজলুর রহমান ও মিজানুর রহমানকে পুলিশের গাড়িতে মেহেরপুর আদালতে নেয়া হয়। এর আগেই সেখানে বেশ কিছু গ্রাহক হাজির হন। বজলুর রহমান ও মিজানুর রহমানের ওপর চড়াও হয় গ্রাহকরা। তবে তা সামাল দিয়েছে পুলিশ। গ্রাহকদের হাতে তাদের তুলে দেয়ার দাবি করেন কয়েকজন অর্থ লগ্নিকারী। গতকালই আদালতের নির্দেশে তাদের মেহেরপুর জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে গাংনী থানাসূত্রে জানা গেছে। বজলুর রজমানের আইনজীবী মীর কামরুজ্জামান জানান, আইনি লড়াই করেই তাদের মুক্ত করা হবে।