স্টাফ রিপোর্টার: যশোরের মণিরামপুরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক কলেজ ছাত্রীকে যৌনপল্লীতে বিক্রির ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে ওই কলেজ ছাত্রীকে যৌনপল্লী থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে সোমবার মণিরামপুর থানায় একটি মামলা করেছেন।
প্রতারক প্রেমিক মণিরামপুর উপজেলার ডাঙ্গা মহিষদিয়া গ্রামের ছালাম মোল্লার ছেলে খুলনা বিএল কলেজের ছাত্র সাব্বির হোসেন শিমুল, একই গ্রামের রোস্তম আলীর ছেলে রানা এবং পার্শ্ববর্তী পাড়িয়ালী গ্রামের প্রণব দাসের ছেলে লোকনাথ দাসকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।
মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন জানান, উপজেলা ডাঙ্গা মহিষদিয়া গ্রামের ওই কলেজ ছাত্রীর সাথে প্রেমসম্পর্ক গড়ে তোলে শিমুল। গত ১০ সেপ্টেম্বর যশোরের একটি নার্সিং হোমে চাকরি দেয়ার কথা বলে শিমুল ওই মেয়েকে ফুসলিয়ে যশোর শহরে নিয়ে আসে।
এরপর সেখান থেকে তাকে খুলনার দৌলতপুরে নিয়ে যায়। দৌলতপুরের একটি কাজী অফিসে নিয়ে ৫০ হাজার টাকা কাবিনে বিয়েও করে তাকে। এরপর স্বামী-স্ত্রী হিসেবে এক সাথে থাকার কথা বলে ১১ সেপ্টেম্বর তাকে নিয়ে যায় ফুলতলার যৌনপল্লীতে। সেখানে ওই দু বন্ধুর সহযোগিতায় তাকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয় শিমুল। এ ঘটনা জেনে ছাত্রীর বাবা স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করে। এতে ফুলতলা থানা পুলিশ ১৯ সেপ্টেম্বর অভিযান চালিয়ে ওই পল্লী থেকে তাকে উদ্ধার করে।
উদ্ধার হওয়ার পর ওই ছাত্রী পুলিশের কাছে তার ওপর চলা নির্যাতনসহ সব ঘটনার বর্ণনা দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার ওই মেয়ের বাবা বাদী হয়ে মণিরামপুর থানায় মামলা করেন।