স্টাফ রিপোর্টার: বিএসএফ গত শনিবার এক নির্দেশ জারি করে বলেছে, এখন থেকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশি মহিলা আর শিশুদের তারা গ্রেফতার করবে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মহিলা আর শিশুরা পাচারের শিকার হয়ে ভারতে আসতে বাধ্য হয়। তাদের সীমান্ত থেকেই বিজিবি’র হাতে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে।
বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান অতিরিক্ত মহানির্দেশক বি.ডি শর্মা জারি করা নির্দেশে বলেছেন, এখন থেকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে তারা কোনো মহিলা বা শিশুকে গ্রেফতার করা হবে না। কারণ এরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পাচারের শিকার। এতোদিন অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করলে সবাইকেই আটক করে স্থানীয় পুলিশের হাতে তুলে দিতো বিএসএফ। সেজন্য বিদেশি আইনের ১৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী সকলেরই কারাবাসের সাজা হতো।
‘বি.ডি শর্মা বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মানুষ পাচার হয় সেটা সকলেরই জানা। আর পাচারের শিকার যারা হচ্ছেন তাদের জেলে পাঠিয়ে শাস্তি দেয়াটা অমানবিক। তাই আমি আজ সব ফ্রন্টিয়ারের আইজিদের নির্দেশ দিচ্ছি- মহিলা আর শিশুদের যাতে গ্রেফতার না করা হয়। তিনি আরো জানিয়েছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পরেই বোঝা যাবে যে চোরাচালানের মতো কোনো অপরাধ সংগঠিত করতে ওই মহিলা বা শিশু ভারতে এসেছিলেন কি-না। যদি আমরা দেখি যে ভুল করে ভারতে চলে এসেছেন অথবা পাচারের শিকার হয়েছেন আটক হওয়া মহিলা বা শিশুরা, তাহলে তাদের সীমান্তেই রেখে দিয়ে বিজিবিকে খবর দেবো। তারপর বাংলাদেশি বাহিনীর হাতে তুলে দেয়া হবে। তবে চোরাচালান বা অন্য কোনো অপরাধমূলক কাজের জন্য যদি কেউ আসেন তাহলে তাদের গ্রেফতার করতেই হবে।’
মহিলা ও শিশুদের গ্রেফতার না করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়ার এ সিদ্ধান্তে দু সীমান্ত বাহিনী ও দু প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হবে বলে আশা বিএসএফ’র।