মেহেরপুরে যুবলীগ নেতা নাসিরের ওপর হামলা : দুজন আহত

 

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুরে যুবলীগ নেতা নাসির উদ্দীনের (৩৬) ওপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতরাত সাড়ে ১১টার দিকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের সামনের একটি চায়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে নাসিরকে। এ ঘটনায় দোকানি নজরুল ইসলামও (৪৫) আহত হয়েছেন। নাসির উদ্দীন মেহেরপুর পৌরসভাধীন ৫ নং ওর্য়াড নতুনপাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি জেলা যুবলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা রাতের একটি গণ্ডগোলের জের ধরে এ হামলা হয়েছে বলে ধারণা করছেন নাসির উদ্দীনের পরিবারের লোকজন।

স্থানীয় ও পুলিশসূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সময় যুবলীগ নেতা নাসির উদ্দীন মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল গেটের সামনে নজরুল ইসলামের চায়ের দোকানের মধ্যে বসে চা পান করছিলেন। এ সময় কয়েকজন তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে নাসিরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। ঠেকাতে গিয়ে নজরুল ইসলামের পায়ে কোপ লাগে। স্থানীয় লোকজন নাসির ও নজরুলকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নাসির উদ্দীনের বাম হাত, পা, পেট ও মাথায় গুরুতর জখম হয়েছে। প্রাথমিক অস্ত্রোপচার করা হলেও তিনি শঙ্কামুক্ত নন। তবে নজরুল ইসলামের আঘাত গুরুতর নয়।

এদিকে খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সভাপতি সাজ্জাদুল আনাম ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল আলম সাজ্জাদসহ নেতৃবৃন্দ। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন তারা। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তারা। জেলা যুবলীগের সভাপতি সাজ্জাদুল আনাম নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, ধারালো অস্ত্র দিয়ে যেভাবে কোপানো হয়েছে তা প্রমাণ করছে তাকে হত্যার উদ্দেশে তারা এ হামলা চালিয়েছে। দ্রুত সময়ে দোষীদের খুঁজে বের করে গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি। এ বিষয়ে আজ বুধবার জেলা যুবলীগের জরুরিসভা ডেকে বিভিন্ন কর্মসূচিসহ পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন জেলা যুবলীগের সভাপতি সাজ্জাদুল আনাম ও সাম্পাদক সাজ্জাদুল আলম। ঘটনার পরপরই সদর থানার এসআই কামাল হোসেনসহ সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালে আসেন। এসআই কামাল হোসেন জানিয়েছেন, সন্ধ্যায় জেআর বাস কাউন্টারে নাসির উদ্দীনের সাথে কয়েকজনের গণ্ডগোল হয়। এ ঘটনার জের ধরে তার ওপর হামলা হয়ে থাকতে পারে। তবে তা খতিয়ে না দেখে নিশ্চিত করা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি। অচেতন থাকায় নাসির উদ্দীনের জবানবন্দি নিতে পারেনি পুলিশ। গতরাত দেড়টার দিকে এ সংবাদ লেখার সময় নাসির উদ্দীনের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছিলো।