স্টাফ রিপোর্টার: সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবমাধ্যম ফেসবুক নিয়ে মানুষের মধ্যে উৎসাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। মিডিয়া অঙ্গনের মানুষরাও নিজেদের সর্বশেষ তথ্য ভক্ত তথা সর্বসাধারণকে ফেসবুকের মাধ্যমেই জানিয়ে থাকেন। তথ্য প্রচারের বিশেষ কিছু সুবিধা থাকলেও সম্প্রতি ইন্টারনেটভিত্তিক এ মাধ্যমটির অপব্যবহার শুরু করেছেন কিছু অসাধু ব্যক্তি। সম্প্রতি গেল ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ভালোবাসা আজকাল’ ছবির পরিচালক পিএ কাজলের ফেসবুক কথোপকথন ফাঁস হয়েছে। ফাঁস হওয়া নথিতে দেখা যায়, পিএ কাজল মিডিয়ায় কাজ করতে ইচ্ছুক এক নতুন নারী মডেলকে প্রলোভন দেখিয়েছেন। তার সাথে অনৈতিক কাজে অংশ নিলে মেয়েটিকে অনেক বড় নায়িকা বানিয়ে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। কথোপকথনে আরও দেখা গেছে পিএ কাজল মেয়েটিকে বলছেন, এসব অনৈতিক কাজের সাথে অনেক নায়িকা, পরিচালক, প্রযোজক জড়িত। যাদের মধ্যে চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা, সাহারা, নবাগত মাহি, চিত্রপরিচালক সোহানুর রহমান সোহান, মুশফিকুর রহমান গুলজার ও জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ফেসবুকের কথোপকথনের এ গোপন তথ্য ফাঁস হওয়ার পর মিডিয়ায় এ নিয়ে তুমুল সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য এ বিষয়ে পিএ কাজলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনের লাইন কেটে দিয়ে ফোন বন্ধ করে দেন। তবে কথোপকথনে পিএ কাজলের যে আইডি ব্যবহার করা হয়েছে সেটি তিনি নিজেই ব্যবহার করেন বলে নিশ্চিত করেছেন তার ঘনিষ্ঠজনরা।
জানা গেছে, যে মেয়েটিকে তিনি নায়িকা বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক কাজে অংশ নিতে বলেছেন সেই মেয়েটিই এ তথ্য ফাঁস করেছেন। কথোপকথনে নাম প্রকাশ হওয়া অন্য পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমাদের নামে কুৎসা রটানোর জন্য পরিচালক সমিতির পক্ষ থেকে পিএ কাজলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ কথোপকথনে নাম প্রকাশ হওয়া আরেক চিত্রপরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজার নিজের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এমনটা কখনও হতেই পারে না। এটা আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।’ জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ এ বিষয়ে বলেন, ‘কথোপকথনটি আমি পড়েছি। এর ভাষা এতোটা নোংরা যেকোনো পরিচালকের মুখ থেকে এটা উচ্চারিত হতে পারে তা আমি কল্পনাও করতে পারি না। উদ্দেশ্যমূলক এখানে আমার নাম জড়িয়ে দেয়া হয়েছে। শিগগিরই এর বিরুদ্ধে আমরা পদক্ষেপ নেবো।’ কথোপকথনে নাম প্রকাশ পাওয়া চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা, সাহারা কিংবা মাহির সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং এ বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন।