সাহিত্য সাময়িকী খেয়া:

নিসর্গ ছোঁয়া প্রেম
-মোঃ আবুল আমিন
প্রাণ তরঙ্গ নিসর্গপ্রেমী
পাপড়ি পুষ্প ছুঁয়ে যাও চুমি।
আঁধার ঠেলে এসো আলোর দেশে
ফুলের গন্ধে ফাগুন বেশে।
নিসর্গ প্রীতি স্বর্গীয় সুখ
মানব মন হোক আঁধার বিমুখ।
মনের প্রতিমা নিসর্গ ছুঁয়ে
আলো এনে দেয় আঁধার ধুয়ে।
প্রকৃতির ধন প্রকৃতির মান
মানব প্রেমের মান অভিমান।
সতত সিদ্ধ হে প্রেম তুমি
বারে বারে এসো হৃদয় চুমি।
অন্তর হোক নিসর্গ সাথী
দূর হোক যত তিমির রাতি।
প্রকৃতির সাথে স¦র্গের প্রেম
গড়ে যেতে চাই হৃদয়ের ফ্রেম।
কবিতার সাথে গল্পের সাথে
স্বর্গের গড়ি সিঁড়ি,
দ্বিধাহীন মনে পাপের নদী
সহসাই দেই পাড়ি।

কঠিন পথে

জোয়াদ আলী

নাইরে টাকা হলাম বোকা বসে এখন ভাবী,

সবার প্রতি ছালাম আমার একটু খানি দাবি।

বাংলার মানুষ আমি হলাম হতভাগা,

দয়া করে এই অধমের অন্তরে দিও জায়গা।

 

জায়গা দিও দোয়া করো কবি হওয়ার জন্য,

এই কামনা আমার মনে হয় যেন পূণ্য।

শূন্য হাতে সেই পথে কোথায় টাকা পাবো,

মনে আমার সাধ জেগেছে ভারত দেশে যাবো।

 

সেই দেশেতে কবিদের হবে সম্মেলন,

কেমনে যায় সেথায় এখন টাকার প্রয়োজন।

টাকা ছাড়া পথে চলা হয় যে বড় কঠিন,

দয়া করে কবির হাতে কিছু টাকা দিন।

 

কত টাকা খরচ হয় যে অসত এই পথে,

কিছু টাকা দিন সবাই এই কবির হাতে।

এই পর্যন্ত মনে কথা রেখেদিলাম ইতি,

আমার দেশের মানুষ হও এই কবির সাথি।

 

১৬ কোটি জনতা

চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু

 

দেশ জুড়ে আজ দেখি

হৈ চৈ পড়েছে,

শকুনের গুলিতে

ফেলানী যে মরেছে।

 

লাশটাকে কাঁটা তাঁরে

রেখেছিলো ঝুলিয়ে,

উল্লাশে ফেঁটেছিলো

বেনেটের ঘা দিয়ে।

 

অবশেষে বৈঠকে

দেশে এলো লাশটা,

খুন আজ লেগে আছে

যেন বারো মাসটা।

 

তারপরে বিচারে

হল কত তামাশা,

ভেঙ্গে গেল স্বজনের

হৃদয়ের সব আশা।

 

দোষীরা ছাড়া পেলো

আমরা ব্যথা পাই,

ফেলানীর খুনীদের

সাজা চাই সাজা চাই।

 

আমরাও প্রস্তুত

আর নয় মমতা,

প্রকিরোধ ঠিক নেবো

১৬ কোটি জনতা।

 

 

জানাই যে ধিক্কার

ইদ্রিস মণ্ডল

 

ও ফেলানী সোনার মেয়ে

দুঃখ কোথায় থুই

ভারত থেকে জ্যান্ত মানুষ

ফিরলি না আর তুই।

 

কেমন করে ভুলি তোকে

কেমন করে ভুলি

তোর বুকেতে ভারত চালাই

বর্ডারেতে গুলি।

 

থাকলিরে তুই যেই খানেতে

তাঁরের বেড়ায় ঝুলে

ঘণ্টা আটেক থাকার পরে

তোর যে নিলো খুলে।

 

তারপরে ঠিক হাত-পাঁ বেঁধে

বাশেঁ ঝুলাই তোকে

মিডিয়াতে এই ঘটনা

দেখতে পারে লোকে।

 

বিশ্ববাসী হয় হতবাক

জানাই যে ধিক্কার

সবাই বলে পশু ওরা

কুত্তা জানোয়ার।

 

ওদের সবাই ঘৃণা করি

আজকে হতে ভাই

মারলো যারা ফেলানীকে

তাদের বিচার চাই।

 

 

লজ্জ্বা

-মো: আমিরুল ইসলাম

 

বাঁশ বাগানের আড়ালেতে

ধরছি তাহার হাত,

কাঁধের উপর হাত রাখিয়া

মন্দ হল বরাত।

 

চমকে উঠে বসে পড়লাম

পাইলাম না পাশে কিছু,

বনভোজনের নেমে থেকে গাড়ি

মাঠের মধ্যে করলাম হিছু।

 

খেয়াল হল, লজ্জা পেলাম

পেলাম ভিজা খ্যাতা,

অনাদরে ঘুমিয়ে থাকলাম

হলাম ছোট্ট একটা প্যাতা।

 

বট গাছের ও গোয়া খেয়ে

গাছটি করলাম সরু

স্বপ্নে আমি প্রসাব করি

এই খানাতে ভীরু।

 

স্বপ্নে আমি বড় মাস্তান

বেড়ায় একটু পালি,

প্রসাব করে মায়ের কাছে

শুনতে হয় যে একটু গালি।

 

বড় হয়ে যায়না কথা

মুতে ফেলা আমার নাম,

খেয়ে সব তো শেষ করেছি

শেষে হয়েছি কাঁঠাল গাছের ভাম।

 

 

বুঝেছি সব শেষে

-সামছুন্নাহার যুথি

 

কতো স্বপ্নের মুখোমুখি

কতো জিবনের কাছাকাছি

কতো হিংসার আগুনে,

জ্বলে পুড়ে সারা

সুন্দর মুহুর্ত খানি।

 

কতোবার আমি অবুজ হয়েছি

নেশায় দিয়েছি ঠোঁট,

জগৎ জননী মাকে কাঁদিয়েছি

দিয়েছি কতো অভিযোগ।

 

কতই আমি অন্যায় করেছি

কতই করেছি পাপ,

তবু নিজের ভুলটা খুজিনি কখনো

খুজেছি অন্যের পাপ।

 

আজ জিবনের বড় অবহেলাই

বারবার মনে হয়,

জীবন এনেছে হাত ধরে মরে

মৃত্যু নিয়ে চলে যায়।

 

মন হয়েছে দেয়াল ঘড়ি

টিক টিক সুরে বাধা

এতো লাফালাফি এতো ছুটাছুটি

মৃত্যু এলেই, সব ফাকা।

 


কেরামত এর রোজা

-মিতুল সাইফ

 

রোজা রেখে আহলাদে

আট খানা কেরামত,

ভাবে সব পাপ তার

হয়ে যাবে মেরামত।

 

মিথ্যার বুলি ছাড়ে

ওজনে সে কম দেয়

কুরুচি মনটাতে

সাত বেলা দম দেয়।

 

সারাক্ষন কাটে তার

নানা অনাচারে

এভাবে কি রোজা হয়?

রোজা হতে পারে?

 

 

টাকা

সঞ্জীব কুমার রায়

টাকা আছে তবে সব আছে

চারিদিকে কলরব আছে

টাকা নেই কোনো কিছু নেই

বন্ধু-সাথী কেউ পিছু নেই

টাকাতে হয় সবাই রাজি

টাকাই হলো কাজের কাজী

 

টাকায় বিক্রি হয় প্রেম-প্রীতি

টাকায় বিক্রি হয় মূল নীতি

টাকায় হয় দেখি ডিক্রি জারি

টাকায় বাঁকা হয় ডিগ্রিধারী

টাকাতে হয় সবাই রাজি

টাকাই হলো কাজের কাজী

 

টাকার জন্যে কত হয়রানি

টাকায় কন্যে রাতে হয় রাণী

টাকায় সুযোগের সৃষ্টি হয়

টাকার জন্যে শুভদৃষ্টি হয়

টাকাতে হয় সবাই রাজি

টাকাই হলো কাজের কাজী

 

টাকায় ভেজালের ছড়াছড়ি

টাকার জন্যে বাড়ে কড়াকড়ি

টাকাতে মনোবল বেড়ে যায়

টাকার জন্যে বউ ছেড়ে যায়

টাকাতে হয় সবাই রাজি

টাকাই হলো কাজের কাজী

 

টাকায় ফাইলের গতি বাড়ে

টাকাতে বহুরূপী মন কাড়ে

টাকাতে চেনা পথ ঘুরে যায়

টাকার জন্যে কেউ পুড়ে যায়

টাকাতে হয় সবাই রাজি

টাকাই হলো কাজের কাজী

 

 

কঠিন পথে

জোয়াদ আলী

নাইরে টাকা হলাম বোকা বসে এখন ভাবী,

সবার প্রতি ছালাম আমার একটু খানি দাবি।

বাংলার মানুষ আমি হলাম হতভাগা,

দয়া করে এই অধমের অন্তরে দিও জায়গা।

 

জায়গা দিও দোয়া করো কবি হওয়ার জন্য,

এই কামনা আমার মনে হয় যেন পূণ্য।

শূন্য হাতে সেই পথে কোথায় টাকা পাবো,

মনে আমার সাধ জেগেছে ভারত দেশে যাবো।

 

সেই দেশেতে কবিদের হবে সম্মেলন,

কেমনে যায় সেথায় এখন টাকার প্রয়োজন।

টাকা ছাড়া পথে চলা হয় যে বড় কঠিন,

দয়া করে কবির হাতে কিছু টাকা দিন।

 

কত টাকা খরচ হয় যে অসত এই পথে,

কিছু টাকা দিন সবাই এই কবির হাতে।

এই পর্যন্ত মনে কথা রেখেদিলাম ইতি,

আমার দেশের মানুষ হও এই কবির সাথি।

 

১৬ কোটি জনতা

চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু

 

দেশ জুড়ে আজ দেখি

হৈ চৈ পড়েছে,

শকুনের গুলিতে

ফেলানী যে মরেছে।

 

লাশটাকে কাঁটা তাঁরে

রেখেছিলো ঝুলিয়ে,

উল্লাশে ফেঁটেছিলো

বেনেটের ঘা দিয়ে।

 

অবশেষে বৈঠকে

দেশে এলো লাশটা,

খুন আজ লেগে আছে

যেন বারো মাসটা।

 

তারপরে বিচারে

হল কত তামাশা,

ভেঙ্গে গেল স্বজনের

হৃদয়ের সব আশা।

 

দোষীরা ছাড়া পেলো

আমরা ব্যথা পাই,

ফেলানীর খুনীদের

সাজা চাই সাজা চাই।

 

আমরাও প্রস্তুত

আর নয় মমতা,

প্রকিরোধ ঠিক নেবো

১৬ কোটি জনতা।

 

 

জানাই যে ধিক্কার

ইদ্রিস মণ্ডল

 

ও ফেলানী সোনার মেয়ে

দুঃখ কোথায় থুই

ভারত থেকে জ্যান্ত মানুষ

ফিরলি না আর তুই।

 

কেমন করে ভুলি তোকে

কেমন করে ভুলি

তোর বুকেতে ভারত চালাই

বর্ডারেতে গুলি।

 

থাকলিরে তুই যেই খানেতে

তাঁরের বেড়ায় ঝুলে

ঘণ্টা আটেক থাকার পরে

তোর যে নিলো খুলে।

 

তারপরে ঠিক হাত-পাঁ বেঁধে

বাশেঁ ঝুলাই তোকে

মিডিয়াতে এই ঘটনা

দেখতে পারে লোকে।

 

বিশ্ববাসী হয় হতবাক

জানাই যে ধিক্কার

সবাই বলে পশু ওরা

কুত্তা জানোয়ার।

 

ওদের সবাই ঘৃণা করি

আজকে হতে ভাই

মারলো যারা ফেলানীকে

তাদের বিচার চাই।

 

 

লজ্জ্বা

-মো: আমিরুল ইসলাম

 

বাঁশ বাগানের আড়ালেতে

ধরছি তাহার হাত,

কাঁধের উপর হাত রাখিয়া

মন্দ হল বরাত।

 

চমকে উঠে বসে পড়লাম

পাইলাম না পাশে কিছু,

বনভোজনের নেমে থেকে গাড়ি

মাঠের মধ্যে করলাম হিছু।

 

খেয়াল হল, লজ্জা পেলাম

পেলাম ভিজা খ্যাতা,

অনাদরে ঘুমিয়ে থাকলাম

হলাম ছোট্ট একটা প্যাতা।

 

বট গাছের ও গোয়া খেয়ে

গাছটি করলাম সরু

স্বপ্নে আমি প্রসাব করি

এই খানাতে ভীরু।

 

স্বপ্নে আমি বড় মাস্তান

বেড়ায় একটু পালি,

প্রসাব করে মায়ের কাছে

শুনতে হয় যে একটু গালি।

 

বড় হয়ে যায়না কথা

মুতে ফেলা আমার নাম,

খেয়ে সব তো শেষ করেছি

শেষে হয়েছি কাঁঠাল গাছের ভাম।

 

 

বুঝেছি সব শেষে

-সামছুন্নাহার যুথি

 

কতো স্বপ্নের মুখোমুখি

কতো জিবনের কাছাকাছি

কতো হিংসার আগুনে,

জ্বলে পুড়ে সারা

সুন্দর মুহুর্ত খানি।

 

কতোবার আমি অবুজ হয়েছি

নেশায় দিয়েছি ঠোঁট,

জগৎ জননী মাকে কাঁদিয়েছি

দিয়েছি কতো অভিযোগ।

 

কতই আমি অন্যায় করেছি

কতই করেছি পাপ,

তবু নিজের ভুলটা খুজিনি কখনো

খুজেছি অন্যের পাপ।

 

আজ জিবনের বড় অবহেলাই

বারবার মনে হয়,

জীবন এনেছে হাত ধরে মরে

মৃত্যু নিয়ে চলে যায়।

 

মন হয়েছে দেয়াল ঘড়ি

টিক টিক সুরে বাধা

এতো লাফালাফি এতো ছুটাছুটি

মৃত্যু এলেই, সব ফাকা।

 


কেরামত এর রোজা

-মিতুল সাইফ

 

রোজা রেখে আহলাদে

আট খানা কেরামত,

ভাবে সব পাপ তার

হয়ে যাবে মেরামত।

 

মিথ্যার বুলি ছাড়ে

ওজনে সে কম দেয়

কুরুচি মনটাতে

সাত বেলা দম দেয়।

 

সারাক্ষন কাটে তার

নানা অনাচারে

এভাবে কি রোজা হয়?

রোজা হতে পারে?

 

 

টাকা

সঞ্জীব কুমার রায়

টাকা আছে তবে সব আছে

চারিদিকে কলরব আছে

টাকা নেই কোনো কিছু নেই

বন্ধু-সাথী কেউ পিছু নেই

টাকাতে হয় সবাই রাজি

টাকাই হলো কাজের কাজী

 

টাকায় বিক্রি হয় প্রেম-প্রীতি

টাকায় বিক্রি হয় মূল নীতি

টাকায় হয় দেখি ডিক্রি জারি

টাকায় বাঁকা হয় ডিগ্রিধারী

টাকাতে হয় সবাই রাজি

টাকাই হলো কাজের কাজী

 

টাকার জন্যে কত হয়রানি

টাকায় কন্যে রাতে হয় রাণী

টাকায় সুযোগের সৃষ্টি হয়

টাকার জন্যে শুভদৃষ্টি হয়

টাকাতে হয় সবাই রাজি

টাকাই হলো কাজের কাজী

 

টাকায় ভেজালের ছড়াছড়ি

টাকার জন্যে বাড়ে কড়াকড়ি

টাকাতে মনোবল বেড়ে যায়

টাকার জন্যে বউ ছেড়ে যায়

টাকাতে হয় সবাই রাজি

টাকাই হলো কাজের কাজী

 

টাকায় ফাইলের গতি বাড়ে

টাকাতে বহুরূপী মন কাড়ে

টাকাতে চেনা পথ ঘুরে যায়

টাকার জন্যে কেউ পুড়ে যায়

টাকাতে হয় সবাই রাজি

টাকাই হলো কাজের কাজী