দৌলতপুরে দেবরের রামদার কোপে আহত ভাবীর মৃত্যু

 

দৌলতপুর প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দৌলতখালী মাদরাসাপাড়ায় জমিজমা নিয়ে ভাইয়ে ভাইয়ে বিরোধের জের ধরে সৃষ্ট সংঘর্ষে দেবরের রামদার কোপে আহত ভাবী কোহিনুর খাতুন (৩৪) তিনদিন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল মঙ্গলবার সকালে মারা গেছেন।

দৌলতপুর থানার ওসি রবিউল ইসলাম জানান, গত শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে দৌলতখালী মাদরাসাপাড়ার মোশারফ হোসেনের ৪ ছেলে মিঠু, সোহেল এবং টিপু, বিপ্লব দু গ্রুপে বিভক্ত হয়ে তাদের স্থানীয় বাজারের জমি নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়ার এক পর্যায়ে মিঠু ও সোহেলকে টিপু ও বিপ্লব রামদা দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকে। মাথায় আঘাত পেয়ে সোহেল মাটিতে লুটিয়ে হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়। এ সময় বড়ভাই মিঠুর স্ত্রী দৌলতপুর এলজিইডির কর্মচারী কোহিনুর এগিয়ে এলে তাকেও রামদা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে দেবর টিপু ও বিপ্লব। কোহিনুরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত রাজশাহী মেকিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তিনদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কোহিনুর মারা যান।