দর্শনা রেলবাজারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের সাথে হোটেল ব্যবসায়ীর দ্বন্দ্ব

পুলিশে হামলা : ভাচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

 

দর্শনা অফিস: দর্শনায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রীগের সাথে বাজারের হোটেলব্যবসায়ী খন্দকার জহিরের সাথে দ্বন্দ্ব হয়েছে। এতে ধাক্কায় দুপক্ষের সাতজন আহত হয়েছে। পৌর ছাত্রীগের সভাপতি ববিসহ আটজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। আসামি গ্রেফতার করা না হলেও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের আল্ট্রিমেট্রাম দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। দর্শনা রেলবাজারের আল্লাহর দান হোটেলের সত্ত্বাধিকারী খন্দকার জহিরের অভিযোগে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে খাওয়া-দাওয়া করে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। ১৮০ টাকা বিল চাওয়াকে কেন্দ্র কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে দর্শনা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ববির নেতৃত্বে ১৫/১৬ জন হোটেলে হামলা চালিয়ে লুটপাট ও ভাঙচুর করেছে। বাধা দিতে গেলে হোটেলমালিক খন্দকার জহির (৪৯), জহিরের ছেলে রাকিব (২২), হোটেলবয় মনিরসহ (২৬) চারজনকে মারধর করা হয়। আহতদের মধ্যে জহিরকে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে জহিরের আজমপুরস্থ বাড়িতে দেখতে যান চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর, দর্শনা পৌর আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানসহ নেতৃবৃন্দ। এ সময় এমপি টগর ও সাবেক মেয়র মতিয়ার রহমান আহত জহিরের খোঁজখবর নেন এবং সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দেন। এ ঘটনায় আহত জহিরের ভগ্নিপতি আবুল কাশেম বাদী হয়ে গতকালই ছাত্রলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম ববিসহ আটজনের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা থানায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন থানার অফিসার ইনচার্জ আহসান হাবীব। এদিকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনায় দর্শনা রেলবাজার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাবির হোসেন মিকা জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ গ্রেফতার না করলে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে আগামীকাল (আজ) মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

অন্যদিকে দর্শনা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ববি বলেছেন, হোটেল মালিক খন্দকার জহিরের ছেলে ইয়াসিন কর্তৃক স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত ঘটনার প্রতিবাদ করায় জহির ও তার লোকজন উত্তেজিত হয়ে ওঠে। এতে তেমন বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে ঠেলাধাক্কায় আমাদের মধ্যে আহত হয়েছে বাপ্পা, জিল্লু ও জনি। এছাড়া হোটেলের খাবার বিল নিয়ে অভিযোগ মিথ্যা বলেও দাবি করেছেন ববিসহ ছাত্রীগের নেতাকর্মীরা।