মাথাভাঙ্গা মনিটর: সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে যেতে হলে পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ অন্তত দু গোলে জিততেই হতো বাংলাদেশকে। একই সময়ে অন্য ম্যাচেও নেপালের কাছে হারতে হতো ভারতকে। ২-১ গোলে স্বাগতিক নেপাল জিতলেও একই ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। ৩০ মিনিটে জাহিদ হাসান এমিলির হেডে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে সমর ইসহাক সমতায় ফেরায় পাকিস্তানকে। দ্বিতীয়ার্ধে গোল পেতে মরিয়া হলেও সফল হয়নি বাংলাদেশ। বরং যোগ করা সময়ে কলিম উল্লাহর শটে গোল হজম করতে হয় তাদের।
অপর ম্যাচে প্রথমার্ধ গোলশূন্য ড্রয়ে শেষ করে নেপাল-ভারত। ৭০ মিনিটে গোলমুখ খোলেন স্বাগতিক দলের অনিল গুরুং। দশ মিনিট পর ভারতের কফিনে শেষ পেরেক ঠুঁকে দেন জুমানু রাই। যোগ করা সময়ে রবিন সিং ভারতের পক্ষে একটি গোল শোধ দেন। হারলেও টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায়নি বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত। ‘এ’ গ্রুপে চার পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে তারা। সাত পয়েন্টে শীর্ষে নেপাল। চার পয়েন্ট পেলেও গোলব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় তিন নম্বরে থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে পাকিস্তানকে। মাত্র এক পয়েন্ট নিয়ে সবার শেষে বাংলাদেশ।
বাফুফে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর বিএ জুবায়ের নিপু শেষ ম্যাচের দল বাছাই নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করলেন, দল বাছাই খুব একটা ভালো হয়নি। এ দল নিয়ে ভালো কিছু করা সম্ভব নয়। দলের সেরা খেলোয়াড়রাও তেমন কিছু করতে পারেননি। লোডভিক ডি ক্রুইফের অধীনে যে ক্যাম্প করলো তাতে করে তেমন উন্নতি দেখা যায়নি টুর্নামেন্টে। খেলোয়াড়রাও ক্লান্ত ছিলো। শুরু থেকেই কঠোর অনুশীলনে তাদের ক্লান্তি এসেছে, এতো চোটের শিকার হয়েছে।
এ ম্যাচে খেলোয়াড়দের মধ্যে জয়ের তাড়না খুঁজে পাননি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্র কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক, আসলে খেলোয়াড়দের মধ্যে জেতার তাড়না কম ছিলো। ডিফেন্স দুর্বল ছিলো। মূল ডিফেন্ডার নাসিরুদ্দিন চৌধুরী খেলেনি। সে না খেলায় ডিফেন্সে ঘাটতি ছিলো। প্রথমার্ধে ভালো খেললেও দ্বিতীয়ার্ধে খারাপ খেলেছে ছেলেরা।