মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইমতিয়াজ আহম্মদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো দু ঘণ্টার কলমবিরতি পালন করা হয়েছে। এছাড়া পৌর কাউন্সিলর ও পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত থেকে মামলা দায়ের করেছেন। ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুল ইসলাম মনিকে প্রধান আসামি করে ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আল মামুন বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।
জানা যায়, গৃহীত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২য় দিনের মতো গতকাল সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত দু ঘণ্টার কলমবিরতি পালন করেছে পৌরসভার কাউন্সিলরসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। এদিকে মেহেরপুর সদর থানায় মামলা না নেয়ায় কর্মবিরতি শেষে পৌরসভার কাউন্সিলরসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আদালতপাড়ায় যান। ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সদর থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুল ইসলাম মনিকে প্রধান আসামি করে ১০ জনসহ অজ্ঞাত আরো ২০/২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। ওই সময় ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইমতিয়াজ আহম্মদ ইনতাজকেও হুইল চেয়ারে করে আদালত চত্বরে নেয়া হয়। মামলা দায়েরের প্রাক্কালে আদালত ভবনের সামনে পৌরসভার কাউন্সিলর ও পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রায় ২শ’ জন উপস্থিত ছিলেন। ওই সময় সেখান থেকে তাদের সরাতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। তাদের সরব উপস্থিতি দেখে উৎসুখ জনতার ভীড় লেগে যায় সেখানে। জুডিসিয়াল আদালতের বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট বৈজন্ত বিশ্বাস মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আল মামুন বলেন, ঘাতকরা আমাকে হত্যার উদ্যোগ নিয়েছিলো। আমাকে না পেয়ে ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইমতিয়াজ আহম্মদ ইনতাজকে তাড়িয়ে ধরে রক্তাক্ত জখম করেছে। মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ মো. মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু ও মামলার বাদী ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আল মামুন অভিন্ন সুরে বলেন, মেহেরপুর সদর থানা মামলা না নেয়ায় তারা আদালতের শরণাপন্ন হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। তারা আশাবাদী এবার তারা সুষ্ঠু বিচার পাবেন। উল্লেখ্য, মেহেরপুর পৌর হলের রেস্ট হাউজে তাস খেলাকে কেন্দ্র করে রোববার সন্ধ্যায় ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুল ইসলামের নির্দেশে ১০/১২ জন যুবক তাড়িয়ে ধরে ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইমতিয়াজ আহমেদ ইনতাজকে পিটিয়ে যখম করেছে এমন অভিযোগে পৌরসভার কাউন্সিলর ও পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ওই আন্দোলন করে যাচ্ছেন। আহত কাউন্সিলর ইনতাজ বর্তমানে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।