স্টাফ রিপোর্টার: দামুড়হুদা কলাবাড়ি উত্তরপাড়ার মসলেম উদ্দীনকে ভালাইপুর মোড়ের একটি গোডাউন থেকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাকে অপহরণের পর আটকে রেখে মারধর করে টাকা কেড়ে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হলেও অভিযুক্তদের পক্ষে গোডাউন মালিক কালু বলেছেন, ওর ছেলের নিকট পাওনা টাকা আদায়ের জন্য মসলেমকে ডেকে এনে বসিয়ে রাখা হয়।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার জুড়ানপুর ইউনিয়নের কলাবাড়ি গ্রামের মৃত বাদশা মণ্ডলের ছেলে মসলেম আলীকে (৫০) গতকাল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। তিনি ও তার শয্যাপাশে থাকা লোকজন অভিযোগ করে বলেন, মসলেম আলী জমি বন্দক দেয়া ও গাছ বিক্রির ২ লাখ টাকা নিয়ে ইব্রাহিমপুর হয়ে তার জামাইবাড়ি শিয়ালমারির উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। পথিমধ্যে কলাবাড়ির আকবর আলীর ছেলে শাহীন, রামনগরের আব্দুল মিস্ত্রির ছেলে শাহীন, ভালাইপুরের লতিফ বিশ্বাসের ছেলে কালুসহ ৪ জন গতিরোধ করে। গোডাউনে নিয়ে আটকে মারধর করে। কাছে থাকা টাকা কেড়ে নেয়। মারধরের কারণে মসলেম উদ্দীনকে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়েছে। অপরদিকে অভিযুক্ত কালু বলেছেন, আমরা তাকে অপহরণ করিনি। টাকাও ছিনিয়ে নেয়া হয়নি। মসলেমের ছেলে মহাসিনের নিকট পাওনা টাকা আদায়ের জন্য তাকে ডেকে নিয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছিলো। মারধরের অভিযোগ সঠিক নয়।
ছেলের নিকট পাওনা টাকা আদায়ের জন্য পিতাকে অপমান করা যায়? তাকে ডেকে গোডাউনে আটকে রাখা ঠিক হয়েছে? এসব প্রশ্নের অবশ্য সদোত্তর মেলেনি।