স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় থ্রি হুইলারের রেজিস্ট্রেশন, রুটপারমিট ও সব রুটে তাদের নির্বিঘ্নে চলাচলের দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট করছে থ্রিহুইলার (অটো-টেম্পু) মালিক সমিতি। এ দাবিতে গতকাল সোমবার বিক্ষোভ মিছিল শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
থ্রি হুইলার মালিক সমিতির সভাপতি নাসির উদ্দিন জানান, দেশের ক্রমবর্ধমান বেকার সমস্যা সমাধানে বর্তমান সরকার থ্রি হুইলার বিদেশ থেকে আমদানি করেছে। থ্রি-হুইলার চালিয়ে সারাদেশে অসংখ্য বেকার যুবক আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠেছে। সরকারের এ উদ্যোগে অনুপ্রাণিত হয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলায় আমরা ১৬১ জন বেকার যুবক ও তরুণেরা থ্রি-হুইলার কিনি। ভিটেমাটি বিক্রি করে এবং ব্যাংক থেকে সুদে ঋণ নিয়ে পাঁচ লাখ টাকা দরে এসব থ্রি-হুইলার কেনা হয়। পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ জেলাসহ সারাদেশে থ্রি-হুইলারের অবাধে চলাচলের জন্য রেজিস্ট্রেশন, রুটপারমিট ও সবরুটে চলাচলের জন্য বিআরটিএ থেকে অনুমতি দিয়েছে। অথচ বিগত এক বছর ধরে চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ অফিস থেকে রেজিস্ট্রেশন, রুটপারমিট ও সবরুটে চলাচলের অনুমতি দিতে আমাদেরকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, সারা জেলা জুড়ে অবৈধভাবে নসিমন ,করিমন, আলমসাধু ,লাটাহাম্বার ও পাউয়ারট্রিলারে অবাধে যাত্রী ও মালামাল বহন করা হচ্ছে। এসব অবৈধ যানবাহনে প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছে ও গুরুতর জখম হচ্ছে। এরপরও অবৈধ যানবাহন অবাধ চলাচলের সুযোগ পেলেও বৈধযান থ্রি-হুইলার চলাচলের ক্ষেত্রে পরিবহন মালিক সমিতি ও পুলিশের পক্ষ থেকে বাধা প্রদানসহ নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। মাঝে মধ্যে থ্রি-হুইলার ভাঙচুর এবং এর চালক এমনকি যাত্রীদেরও মারধর করা হচ্ছে। এরকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে এ খাতে বিনিয়োগ করা আট কোটি টাকা ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। যারা বৈধপথে জীবিকা নির্বাহ করতে এ থ্রি-হুইলার কিনেছেন তারাও ঋণগ্রস্ত এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিসহ নিঃস্ব হয়ে যাবে।
জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এসএম রেজাউল করিম স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। এরপর আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ মিছিল সহকারে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যান এবং পুলিশ সুপার আব্দুর রহিম শাহ চৌধুরীকে স্মারকলিপি পেশ করেন। অবস্থান ধর্মঘট চলাকালে অন্যান্যের মধ্যে জীবননগর সমিতির সহসভাপতি হাবিবুর রহমান, সদস্য ফরহাদ হোসেন, লাল্টু, ছোটন, হেলাল, রবিউল, ইয়াকুব, মোস্তাক, এস মহাম্মদ ও বাবুল হোসেন বক্তব্য রাখেন ।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোমিন জানান, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন অব্যাহত রাখবে।