ময়মনসিংহে আ’লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ : উপজেলা চেয়ারম্যান নিহত, আহত ৫০

মাথাভাঙ্গা অনলাইন: ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফোরকান উদ্দিন সেলিম মৃধা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ৫০ জন।

স্থানীয়রা ও ধোবাউড়া থানা পুলিশ সূত্র জানায়, রবিবার দুপুরে ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট প্রমোদ মানকিন।

অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের খাবারের সময় স্থানীয় গামারীতলা ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা আজিজুল হক খান স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলমগীর হুছাইনকে ধাক্কা দিয়ে কক্ষে প্রবেশ করলে উপজেলা চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা ফুরকান উদ্দিন সেলিম মৃধা তাকে বকাঝকা করে কক্ষ থেকে বের করে দেন।

পরে ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক খান কক্ষ থেকে বেরিয়ে গিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সেলিম মৃধাকেও পাল্টা বকাঝকা করলে উপজেলা চেয়ারম্যানের ছোট ভাই তাকে মারধর করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপই রণসজ্জায় সজ্জিত হয়ে শহরের দু’দিক থেকে আসতে শুরু করে। পরিস্থিত নিয়ন্ত্রনে উপজেলা প্রশাসন রবিবার বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে ১৪৪ ধারা জারি করে।

কিন্তু বিকেল ৫ টার দিকে উপজেলা প্রশাসনের ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে স্থানীয় আওয়ামীলীগের উভয় পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে যায়। এ সংঘর্ষে স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান সেলিম মৃধা ও তার ছোট ভাই মজনুসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় সেলিম মৃধা ও তার ছোট ভাই মজনুকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা সেলিম মৃধা মারা যান বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। পরে ময়মনসিংহ থেকে অতিরিক্ত র‌্যাব ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক জানান, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’ এ কথা বলেই তিনি ফোনের লাইন কেটে দেন।