যথা সময়ে যথাযথ পদক্ষেপই হবে কল্যাণকর

 

মানুষ বাড়ছে, বাড়ছে যানবহনের চাহিদা। যখন যে যানবহন সড়কে চলাচল শুরু করছে তখন সেটাকে সাধুবাদ জানালেও তার কুপ্রভাব পড়তেই বিভিন্ন মহল থেকে আপত্তি উঠছে। চলাচলেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে মূলত ডিজেলচালিত ও ব্যাটারিচালিত তিন চাকার ছোট যানবহন। অথচ এসব যানবহন দেশে তৈরি নয়, বিদেশ থেকে আমদানি করা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, এসব যানবহন যখন আমদানিতে অনুমোদন দেয়া হলো তখন কেন তার কুফল ভেবে দেখা হলো না। তাহলে কি অনুমোদনদাতাদের অদূরদর্শিতা? যদি তাই হয়, তাহলে তার খেসারত কেন ওইসব যানবহন ক্রেতা ও তার চালকেরা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে পড়বে?

 

ব্যাটারিচালিত তিন চাকার যানবহনটি ইতোমধ্যেই ইজিবাইক নামে পরিচিত। শহরে রিকশার বিকল্প হিসেবে এ যানের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে। আর ডিজেলচালিত তিন চাকার ছোট যানটিরও যাত্রী সাধারণের মধ্যে গ্রহণযোগত্য কম নয়। সড়কে শ্যালোইঞ্জিনচালিত অসংখ্য অবৈধযান চলাচল করছে। এসব যানের তুলনায় ডিজেল ও ব্যাটারিচালিত এসব যানের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম। অবশ্য চালকদের প্রশিক্ষণের তেমন ব্যবস্থা না থাকায় ওসব যানও রাস্তায় চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। বাড়ছে জীবনের ঝুঁকি। সেদিকে বিশেষ নজর না দিয়ে ওইসব যানের রেজিস্ট্রেশনের আওতাভুক্ত না করে গড়িমসি এবং তা সড়কে চলাচলে বাধা সৃষ্টির ফলে মাঝে মাঝেই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি গড়ে উঠছে। সংঘর্ষের যেমন আশঙ্কা বাড়ছে, তেমনই বাধার মুখে পড়ে ওইসব যানের চালকেরাও ঘুরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিচ্ছে। প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপে বিলম্ব হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গার কয়েকটি সড়কের বিছিন্ন কিছু ঘটনা সেরকমই ইঙ্গিত দিচ্ছে।

 

যে যান বিদেশ থেকে বৈধভাবে আমদানি করা, বৈধভাবে বিক্রি ও কেনা তার সড়কে চলাচলের বৈধতা মিলবে না কেন? রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করলে তা প্রদানই হবে যুক্তিযুক্ত। আর ওই যান যদি সড়কে অধিক ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায় তাহলে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে। ইজিবাইকগুলো কোন কোন সড়কে চলাচল করবে তা নির্ধারণের মাধ্যমে সড়ক নিরাপদ করা যেতে পারে। তার আগে প্রধান প্রধান সড়ক থেকে অবৈধযান উচ্ছেদে প্রশাসনকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। এক্ষেত্রে আইন প্রয়োগে নমনীয়তা যেমন কাম্য নয়, তেমনই বৈধ পথে আমদানি করা যানবহন সড়কে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিও কাম্য নয়। এদিকে আশু দৃষ্টি এবং বাস্তবমুখি পদক্ষেপই কল্যাণকর হবে।