দর্শনা-কার্পাসডাঙ্গা সড়কে দু যুবকের বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানো
দর্শনা অফিস/কুড়ুলগাছি প্রতিনিধি: দর্শনা-কার্পাসডাঙ্গা সড়কে বেপরোয়া গতিতে ছোটা মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আট বছর বয়সী শিশু হোসেল নিহত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে গ্রামেরই অপরপাড়ার একটি বিয়ে বাড়ি থেকে ফেরার পথে সে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় গুরুতর জখম হয়। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক রেফার করলেও অর্থাভাবে নিতে পারেনি তার নিকটজনেরা। ফলে অনেকটা বিনা চিকিৎসাতেই রাত ন’টার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢুলে পড়ে শিশু সোহেল।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার কুড়ুলগাছি বাগানপাড়ার নূর ইসলামের প্রথম স্ত্রীর ছেলে সোহেল তার দাদা-দাদির কাছেই থাকে। গতকাল সোহেল গ্রামেরই ফুটবলমাঠ পাড়ায় যায় ঝন্টুর গায়ে হলুদ দেয়া অনুষ্ঠন দেখতে। সেখান থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে দাদি বাড়ি ফিরছিলো সে। পথিমধ্যে অনেকটা বাড়ির সামনেই বেপরোয়া গতিতে ছোটা মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আছড়ে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দর্শনা-কার্পাসডাঙ্গা সড়কে কার্পাসডাঙ্গা অভিমুখে দ্রুতগতিতে ছুটছিলো মোটরসাইকেলটি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শিশু সোহেলকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে মারাত্মক জখম হয় সোহেল। তাকে মুর্মূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ন’টার দিকে মারা যায় সোহেল।
অপরদিকে ঘটনাস্থলে রেজিস্টেশনবিহীন লাল রঙের ১৩৫ সিসি ডিসকভার মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায় দু যুবক। পালিয়ে যাওয়া দু যুবক হলো দামুড়হুদার হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুর মাঠপাড়ার জামাত আলীর ছেলে পিপুল (২২) একই পাড়ার রবিউল ইসলামের ছেলে বাবু (২৭)। প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও বলেছে, আনাড়ি চালক বেগতিকভাবে মোটরসাইকেল চালানোর কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি বলে জানিয়েছেন থানার অফিসার ইনচার্জ আহসান হাবীব। ঘটনাস্থল থেকে কার্পাসডাঙ্গা আইসি ইনচার্জ এসআই রবিউল ইসলাম মোটরসাইকেল উদ্ধার করতে পারলেও গ্রেফতার করতে পারেনি কাউকে। তবে মামলা না হলে আপস মীমাংসার প্রক্রিয়া চলছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।