গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহিদুজ্জামান খোকনের আবেদনটি চূড়ান্ত না করতে কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করেছেন গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলীসহ নেতৃবৃন্দ। গতকাল শনিবার দুপুরে পৌর ভবন সভাকক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনে এ দাবি করে সাহিদুজ্জামান খোকনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে পৌর মেয়র ছাড়াও আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মকবুল হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল আলম, জেলা আ.লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, গাংনী ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম, প্রভাষক মামুনুর রশিদ বক্তব্য রাখেন। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেনের ডিও লেটার নিয়ে গাংনী ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদে আবেদন করেছেন সাহিদুজ্জামান খোকন। এমপিকে জামায়াত-শিবিরের আশ্রয়দাতা আখ্যায়িত করে আরো বলা হয়েছে, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খোকন তার পক্ষে কাজ করে তার হাতকে শক্তিশালী করেছেন। তাই তিনি সভাপতি হলে কলেজটি জামায়াত-শিবিরের অভয়াশ্রম হবে। শিক্ষার মান ধ্বংস হবে। কলেজ পরিচালনা পর্ষদের নিয়মিত কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসক। এ কমিটির মেয়াদ রয়েছে আগামী বছরের ২০ আগস্ট পর্যন্ত। কমিটির সদস্যরা যোগ্যতার সাথেই দায়িত্ব পালন করছেন। তাই সাহিদুজ্জামান খোকনকে সভাপতি হিসেবে মনোনীত না করতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিক সম্মেলনকারীরা। সাহিদুজ্জামান খোকনের বংশ পরিচয় উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, তিনি সভাপতি হয়ে নিয়োগ বাণিজ্য করবেন। আর দলের সভাপতি হয়ে তিনি বিরোধীদলের লোকজনের কাছে সার্টিফিকেট বিক্রি করে তাদের চাকরির ব্যবস্থা করেছেন বলেও অভিযোগ করা হয়। তবে সাহিদুজ্জামান খোকন জানিয়েছেন অভিযোগগুলো সঠিক নয়।