আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেলো পুরাতন পাঁচলিয়া গ্রামের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী সাথী আক্তার। আলমডাঙ্গা উপজেলা জামজামি ইউনিয়নের পুরাতন পাঁচলিয়া গ্রামের রেজাউল হকের মেয়ে সাথী পাঁচলিয়া জামাল উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। সম্প্রতি পারিবারিকভাবে অপ্রাপ্ত বয়স্ক সাথীর বিয়ে ঠিক হয় হারদী গ্রামের আইন উদ্দিন মিস্ত্রির ছেলে আলতাব আলীর সাথে। আজ শুক্রবার ছিলো বিয়ের নির্ধারিত দিন। বিষয়টি জানতে পেরে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনজুমান আরা বাল্যবিয়ে বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তিনি থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন বিয়ে বন্ধের জন্য। গতকাল পুলিশ পুরাতন পাঁচলিয়া গ্রামে গিয়ে রেজাউল হককে তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের বিয়ে দিতে নিষেধ করেন। নিষেধ উপেক্ষা করে বিয়ে দেয়া হলে গ্রেফতারপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয় সাথীর পিতাকে। প্রশাসনিক বাধায় ওই বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়েছে বলে রেজাউল হক জানিয়েছেন। গ্রামসূত্রে জানা গেছে, সাথীকে গতকাল তার মামাবাড়ি কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানার বলরামপুর গ্রামে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ইউএনও বিষয়টি শুনেছেন বলে জানান। তিনি বলেন, অনেকেই প্রশাসনের বাধার মুখে মেয়ে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে গোপনে বিয়ে দেন। সাথীর ক্ষেত্রে এরকম কৌশল করা হচ্ছে কি-না তার খোঁজখবর রাখছেন তিনি। যাতে এরকম অন্যত্র গিয়ে সাথীর বিয়ে দিতে না পারে। এমন লুকোচুরির বিয়ে হলে তিনি অভিভাকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।