তিতুদহের নুরুল্লাপুরের জাফর আলীকে হাসপাতাল থেকে দ্রুত সরিয়ে নিলেও পিছু ছাড়েনি পুলিশ : উদ্ধার করেছে লাশ

 

স্টাফ রিপোর্টার: নুরুল্লাহপুরের জাফর আলীকে মুর্মূষু অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসকের মৃত্যু ঘোষণার আগেই টানাহেঁচড়া করে পেছন পথে রোগী নেয়ায় সন্দেহ দানা বাঁধে। শেষ পর্যন্ত পুলিশ অবশ্য তার লাশ উদ্ধার করে। মৃত্যুর নেপথ্য উন্মোচনে আজ রোববার ময়নাতদন্ত হতে পারে। লাশ গতরাতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ হেফাজতে রাখা ছিলো।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের নুরুল্লাপুর গ্রামের জাফর আলীর স্ত্রী ফাতেমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, গত ১৯ আগস্ট গ্রামের ফকর উদ্দিনের ছেলে আশাফুল ২৪ বোতল ফেনসিডিল ছয় হাজার টাকা দাম ধরে বিক্রি করতে দেয় মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে ৩ সন্তানের জনক জাফর আলীর (৩২) নিকট। সেই থেকে জাফর আলী আর বাড়ি ফেরেনি। পরিবারের লোকজন মোবাইলফোনে যোগযোগ করার চেষ্টা করলে ফোনটি বন্ধ রাখে সে। গত বুধবার জাফর আলী বাড়িতে এলে আশাবুল টাকার জন্য চাপ দেয়। জাফর আলী ফেনসিডিল খোয়া গেছে বলে জানায়। এতো কিছুর পরেও গতকাল শুক্রবার ছিলো টাকা পরিশোধের দিন। ফাতেমা বেগম অভিযোগ করে আরও বলেন, সকালের দিকে আশাফুলের ভাই ইমান আলী সকাল আটটার মধ্যে টাকা না দিলে হত্যার হুমকি দেয়। বাড়ি থেকে টাকার জন্য জাফর আলী বের হয়ে কিনে নিয়ে যায় বিষ। সকাল ১০টার দিকে পথিমধ্যে বিষপান করে বাড়ি ফেরে সে। বিষয়টি স্ত্রী প্রথমে বুঝতে পেরে চিৎকার শুরু করে। জাফর আলীকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়ার পরপরই তার মৃত্যু হয়। পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি করে লাশ বাড়ি নিয়ে আসে। ফেনসিডিলের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে আত্মহত্যার বিষয়টি নিয়ে গ্রামে নানামুখি গুঞ্জন চলতে থাকে। একপর্যায়ে বিকেল ছয়টার দিকে তিতুদহ পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই আমিনুল ইসলাম জাফরের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালমর্গে পাঠান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা মর্গেই রাখা ছিলো জাফর আলীর লাশ। অপর একটি সূত্র বলেছে, জাফর আলীকে বাকিতে ফেনসিডিল এনে দিয়েছিলো একই গ্রামের কিনু মণ্ডলের ছেলে আ.সাত্তার তার এক আত্মীয়ের নিকট থেকে। এ টাকার জন্য একাধিক বৈঠকও হয়েছে। এদিকে ঘটনার পরপরই অনেকেই গা ঢাকা দিয়েছে। বিষয়টি পুলিশি তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে বলে মনে করছে এলাকার সচেতন মহল। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি গাজী মো. ইব্রাহিম বলেন, এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।