আলম আশরাফ/সাইদুর রহমান: বড় ভাই নিঃসন্তান রহিম মণ্ডল মারা যাওয়ার ৩ বছরের মাথায় ভাবী বাছিরন নেছাকে (৫০) ঘরবাড়ি ভেঙে তাড়িয়ে দিয়েছে দেবর মজনু মণ্ডল। গত পরশু বৃহস্পতিবার বিকেলে মজনু মণ্ডল মারধর করে ঘর ভেঙে বাছিরনকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বাছিরন গ্রামবাসী ও চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় বাড়ি ফিরলেও প্রাণনাশের হুমকির মধ্যে রয়েছে।
গ্রামবাসীসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের রামনগর ক্লাবপাড়ার মৃত লিয়াল মণ্ডলের দু ছেলে রহিম মণ্ডল ও মজনু মণ্ডল। ৩ বছর আগে রহিম মণ্ডল মারা যান। তার কোনো সন্তানাদি ছিলো না। রহিম মণ্ডল মারা যাওযার পর বাছিরন একাই তার স্বামী ভিটেই থাকেন। গত পরশু বৃহস্পতিবার বাড়ির উঠোনের একটি বেলগাছের ডাল কাটার কারণে বাছিরনকে মারধর করা হয়। তার একমাত্র ঘরটি ভেঙে বাড়ি থেকে বের করে দেয় তার দেবর। উপায় না পেয়ে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় জুড়ানপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলীর কাছে গিয়ে ঘটনা খুলে বলেন। ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনা শুনে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় মীমাংসা করার চেষ্টা করলে হত্যার হুমকি দেয় দেবর মজনু। গ্রামবাসী অনেকেই নাম প্রকাশ না করার সর্তে বলেন, এক সময় মজনু মণ্ডল সন্ত্রাসীদের সাথে ঘোরাঘুরি করতো। হত্যা মামলায় কিছুদিন জেলও খেটেছে। সেই দাপটে কাউকে মানুষ মনে করে না। মজনু মণ্ডলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। মজনু মণ্ডলের ছোট ছেলের সাথে কথা হলে বলেন আমাদের পারিবারিক ব্যাপার আমরা মীমাংসা করে ফেলবো। এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে মৃত রহিম মণ্ডলের স্ত্রী বাছিরন নেছা ও গ্রামবাসী বলেন, প্রায় মাসেই তো ঝগড়া বিবাদ হয়। বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। মীমাংসা যখন হয়নি আপনারা এসেছেন আমার বিধি ব্যবস্থা করে দিয়ে যান।