জীবননগরে হাসাদাহে ডিবি পুলিশের অভিযান : ম্যাক্সিম মাল্টিপারপাসের এমডির ভাই শাহীন আটক

 

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর থেকে গ্রাহকদের আমানতের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে ম্যাক্সিম মাল্টিপারপাস কোঅপারেটিভ সোসাইটি নামের একটি এলএমএল কোম্পানি। জীবননগর শহরের কাজি টাউয়ারে এর অফিস থাকলেও মূলতঃ এখন এর কার্যত্রম নেই বললেই চলে। স্থানীয় ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম বাবু গ্রাহকদের আমানতের টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে দীর্ঘদিন ধরে টালবাহানা করে আসছেন। তিনিও গত দু মাস ধরে গা ঢাকা দিয়েছেন। এ অবস্থায় প্রতারিত গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা ডিবি পুলিশ হাসাদাহ বাজারে অভিযান চালিয়ে ম্যাক্সিম মাল্টিপারপাসের এমডি মোস্তাফিজুর রহমান শামীমের ভাই শাহীনকে আটক করে। আটক শাহীনসহ তার পরিবার চুয়াডাঙ্গা ডিবি পুলিশ অফিসে গ্রাহকদের টাকা ১২ আগস্টের মধ্যে ফেরত দেয়ার অঙ্গীকার করে আসে। কিন্তু তারা সে অঙ্গীকার পালন না করে গ্রাহকদের হয়রানি করে আসছিলো। এ অবস্থার মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার তাকে আটকের পর তার পরিবারের সদস্যদের প্ররোচণায় একদল মানুষ শাহীনের মুক্তির দাবিতে হামাদাহে মহাসড়ক অবরোধ করে। রাত ৮টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সড়ক অবরোধ মুক্ত করে।

জীবননগর উপজেলার হাসাদাহের নূর মোহাম্মদের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান শামীম ম্যাক্সিম মাল্টিপারপাস কোঅপারেটিভ সোসাইটি নামক একটি এলএমএল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি গত বছর শহরের কাজি টাউয়ারে এর শাখা খোলেন। শাখা খোলার পর চড়া লাভ দেয়ার কথা বলে গ্রাহকদের নিকট থেকে লাখ লাখ টাকার আমানত সংগ্রহ করে। এসব টাকা সে রাতারাতি খুলনায় নিয়ে নিজের ব্যবসার প্রসার ঘটায়। সম্প্রতি এলএমএল ব্যবসা নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা চলার পর গ্রাহকরা তাদের আমানত ফিরিয়ে নিতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। ম্যাক্সিম ওই ধরণের প্রতিষ্ঠান নয় একদিকে এমন প্রচারণা চালানোর মাঝে তারা এখন থেকে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম গোটাতে থাকে এবং সেইসাথে গ্রাহকদের আমানতের টাকা অবিলম্বে ফেরত দেয়ার অঙ্গীকার করতে থাকে। এ অবস্থার মধ্যে অবস্থা বেগতিক দেখে স্থানীয় ব্যবস্থাপক বাবু গত দু মাস আগে গা ঢাকা দিলে গ্রাহকদের মধ্যে হতাশা ছড়িয়ে পড়ে। তারা ডিবি পুলিশে অভিযোগ দেয়। গতকাল বিকেলে ডিবি পুলিশের এএসআই আশরাফের নেতৃত্বে ফোর্স হাসাদাহে অভিযান চালিয়ে ম্যাক্সিমের এমডি শামীমের ভাই শাহীনকে আটক করে।

এএসআই আশরাফ জানান, আটককৃত শাহীনসহ তার পরিবার ডিবি অফিসে এসে অঙ্গীকার করেছিলো ১২ আগস্টের মধ্যে তারা গ্রাহকের টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। এর মধ্যে তাদেরকে আটক কিংবা হয়রানি না করার জন্য আবেদন জানানো হয়। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যেও টাকা না দিয়ে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করে চলাতে শাহীনকে আটক করা হয়।

এদিকে আটক শাহীনের মুক্তির দাবিতে তার পরিবারের সদস্যদের প্ররোচণায় হাসাদহ বাজারে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ মুক্ত করে।