সদরুল নিপুল/জাহাঙ্গীর আলমঃ চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাস ইউনিয়নের কুঠিপাইকপাড়া গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের এক বৃদ্ধের লাশ গাছের ডালের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করেছে। রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে আর ঘরে ফিরেনি। পরের দিন বিকেলে বাড়ির অদূরে কবর স্থান সংলগ্ন একটি গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এলাকায় আত্মহত্যার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লেও তার মৃত্যু রহস্যজনক হওয়ায় ময়না দন্তর জন্য পুলিশ লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালমর্গে পাঠিয়েছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার নব গঠিত আইলহাঁস ইউনিয়নের কুঠি পাইকপাড়া গ্রামের মৃত প্রিয় চন্দ্র দাসের ছেলে ৫ সন্তানের জনক দুলাল চন্দ্র দাস (৭০) গত পরশু মঙ্গলবার রাত ১২টার সময় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে ঘর থেকে বাইরে যায়। রাতে দুলাল চন্দ্র দাস ফিরে না আসায় তার বাড়ির লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোনো সন্ধান না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা চিন্তিত হয়ে পড়ে। পরের দিন গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বাড়ির অদূরে কবর স্থান সংলগ্ন একটি মেহগুনি গাছের সাথে দুলালের গলায় রশি দিয়ে বাধা ঝুলন্ত লাশ গ্রামের মহিলা দেখে চিৎকার করে ওঠে।
খবর পেয়ে তার বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে লাশ নামানো ঠিক না ভেবে সবাই দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে থাকে। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার পর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আলমডাঙ্গা থানার এসআই আনিস এবং ঘোলদাড়ীর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এএসআই লিয়াকত সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দুলালের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে দুলাল আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। আবার মাথার সমস্যার কারণে আত্মহত্যা করেছে বলে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়। তবে এলাকার অনেকের ধারণা কিছুদিন আগে জমি বিক্রি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর কয়েকদিনের মাথায় তার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে জানা যাবে দুলালের মৃত্যুর রহস্য। আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ দুলালের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার লাশ হাসপাতালমর্গেই ছিলো। এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে।