চুয়াডাঙ্গা জেলা শিল্পকলা একাডেমির বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসবে যোগদান : দর্শক নন্দিত হয় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঝাপান গান

খাইরুজ্জামান সেতু: বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসবে চুয়াডাঙ্গা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অংশগ্রহণ শেষে চুয়াডাঙ্গায় ফিরেছে। গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অনুষ্ঠান শেষ করে তারা চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে রওনা হয়। বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১১টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বর থেকে ৬০ জনের একটি টিম দুটি বাসযোগে রওনা হয়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ৬৪ জেলার শিল্পকলা একাডেমির অংশগ্রহণে ১ জানুয়ারি থেকে একাডেমির নন্দন মঞ্চে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সাংস্কৃতিক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি। অনুষ্ঠান শেষ হবে ১৮ জানুয়ারি। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অংশগ্রহণ করে। একই দিনে পর্যায়ক্রমে অংশগ্রহণ করবে জামালপুর, সুনামগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমি। চুয়াডাঙ্গা জেলা শিল্পকলা পরিবেশন করে নাচ, গান ও গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঝাপান গান।
জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার জসীম উদ্দীন জানান, অনুষ্ঠানে ছিলো দর্শকদের নজর কাড়ার মতো গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঝাপান গান এবং টিপু সুলতানের লেখা ও সুরে চুয়াডাঙ্গার পরিচিতি নিয়ে গান যা চুয়াডাঙ্গাকে বিশ্ব দরবারে তুল ধরে, পাশাপাশি ছিলো চুয়াডাঙ্গা-কুষ্টিয়ার সাংস্কৃতিক অঙ্গণের ঐতিহ্য লালন গীতি ও দেশ গান। আরও ছিলো লোকজ ও দেশনৃত্য। তবে দর্শক নন্দিত হয় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঝাপান গান। যা দর্শকদের বাড়তি আনন্দ দেয়। ৬০ জনের টিমের সাথে ছিলেন চুয়াডাঙ্গা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার জসিম উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক মুন্সি জাহাঙ্গীর আলম মান্নান ও যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সালাম তারা, কার্যকরী কমিটির নির্বাহী সদস্য নাবিলা ছন্দা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হিরণ-উর রশিদ শান্ত। অনুষ্ঠান শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিকে সম্মাননা উপহার তুলে দেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ।