ব্লাস্ট প্রতিরোধে কোনো রকম গাফিলতি কাম্য নয়

মাঠের পর মাঠ ধানের আবাদে ভরা। আর ক’দিন পরই নতুন ধান ওঠার কথা। এরই মাঝে ব্লাস্ট নামের রোগ লেগে শীষ শুকিয়ে শাদা করে দিচ্ছে। ধানের যে আবাদ থেকে লাভ হওয়ার কথা, সেই আবাদে এখন অধিকাংশ কৃষককেই গুনতে হচ্ছে লোকসান। শুধু কি তাই, ধান উৎপাদনে বিপর্যয় মানেই খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা তথা জাতির স্বনির্ভরতার সুতোয় টান। দুঃখজনক। ফলে ব্লাস্ট প্রতিরোধে কোনো রকম গালিতি কাম্য নয়।

ব্লাস্ট কেন হয়? ব্লাস্ট হলে চাষিদের কি এবং কোন ধরনের পদক্ষেপ নিতে হয়? এসব জানানোর জন্য অঞ্চলভিত্তিক উপসহকারী মাঠ কর্মকর্তা রয়েছে। যদিও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার অধিকাংশ এলাকারই কৃষকদের অভিযোগ, তারা উপসহকারী মাঠ কর্মকর্তাকে বছরভর দেখাই যায় না। কৃষকদের তেমন কেউ চেনেনও না। এই যখন অবস্থা, তখন কৃষি প্রধান দেশে কৃষককল কোন তিমিরে তা আর নতুন করে বলার অবকাশ রাখে না।

ব্লাস্ট নাম রোগের কারণে গত বছর গমের আবাদ বিপর্যয়ের কারণে এবারের গমের আবাদ মরসুমে গম না বোনার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরসহ এলাকার ১০টি জেলার কৃষকদের প্রতি এ অনুরোধ জানানো হলেও ধানের আবাদে যে ব্লাস্ট লাগতে পারে এরকম কোনো পূর্বাভাস দিতে পারেননি কৃষি কর্মকর্তারা। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বিস্তীর্ণ মাঠে বিঘার পর বিঘা জমির ধানে ব্লাস্ট ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রতিকার, প্রতিষেধক? একটি কোম্পনির সরবরাহকৃত প্রতিষেধকের সবই নাকি মেয়াদোত্তীর্ণ। এ বিষয়েও পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তাছাড়া যারা বিএডিসির বিক্রয়কৃত বিরি-২৮ ধানের আবাদ করেছেন তারাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ, অনুযোগ মূলত ক্ষতিগ্রস্ততার কারণেই। মাঠ কর্তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে, তার আগে দরকার ব্লাস্ট প্রতিরোধে বাস্তবমুখি জরুরি পদক্ষেপ।