কাজ করতে গিয়ে ভুল! তা যদি হয় জেনে বুঝে?

 

 

মামলার এজাহারনামীয় আসামি বড় ভাইয়ের বদলে ছোট ভাইকে বড় ভাইয়ের নামেই গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা অন্যায়কে কী ভুল বলে চালানো যায়? যায়, যদি গ্রেফতারকৃত নিজেই সত্য আড়াল করেন। করেছেন নিশ্চয়। তা না হলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাহস পেলেন কীভাবে? তদন্ত প্রয়োজন।

অবশ্যই পুলিশের সকল সদস্য দুর্নীতিগ্রস্ত নন, সকলেই অন্যায়ের সাথে আপস করেন না। কেউ কেউ করেন। অনিয়ম দুর্নীতি করে পার পাওয়ার কারণে তা সংক্রমিত হয়। হচ্ছেও। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের অদূরবর্তী উপজেলা মোড়ের একটি দোকানে প্রকাশ্যে হামলা চালানো হয়। লুটপাট, ভাঙচুরসহ উল্লাস করে হামলাকারীরা। বেলগাছি ও কলোনি পাশাপাশি অর্থাৎ পড়শি দুটি পাড়া। মোবাইলফোন ছিনিয়ে নিয়ে ফেরত দিলেও তার মেমোরিকার্ড না দেয়া নিয়ে সৃষ্ট বিরোধে পড়শি দুপাড়ার লোকজন জড়িয়ে পড়ে বিরোধে। এরই জের ধরে দোকানে হামলার ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। দায়েরকৃত মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে যে ক’জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্যে কলোনিপাড়ার আলিয়ার রহমানের ছেলে পটল একজন। পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পটল একটি কোম্পানির সেলসম্যান হিসেবে চাকরি করেন। এ কারণেই তার বদলে তারই ছোটভাই বারেককে পটল হিসেবে গ্রেফতার করানো হয়েছে। বিশেষ সুবিধা নিয়েই এক ভাইয়ের বদলে অন্য ভাইয়ের হাতে হাতকড়া পরিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় সমালোচনা শুরু হয়। খবরটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। বিষয়টি যেহেতু গোপন থাকেনি, সেহেতু তদন্তকারী কর্মকর্তা নিশ্চয় ভুল সুধরে নেবেন। যদি সুধরে না নিয়ে চার্জশিট থেকেই এজাহারনামীয় আসামির নাম বাদ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন? অনিয়ম দুর্নীতির মাত্রা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে তা পুলিশের শীর্ষপদস্থ কর্তাদের নতুন করে ভাবতে হবে।

কাজ করতে গেলে কিছু ভুল হতেই পারে। জেনে শুনে ভুলের আড়ালে অনিয়ম থাকে, থাকে দুর্নীতি। ভুলই হোক, আর অনিয়মই হোক, তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে না পারলে ভুল বা দুর্নীতি সংক্রমিত হয়। ফলে বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করেই তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ কাম্য।