ঈদুল আজহার আগে পশুহাট কারবারিদের নিরাপত্তা

ঈদুল আজহা আসন্ন। প্রতিবারই কোরবানির এ ঈদকে সামনে রেখে পশুহাট ফেরত ব্যবসায়ীদের ডাকাতির শিকার হতে হয়। এবারও চুয়াডাঙ্গায় তার ব্যতিক্রম নয়। যদিও পুলিশের তরফে আগেভাগেই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের তাগিদ পরিলক্ষিত হয়েছে, তারপরও সড়কে সন্ধ্যার পর ডাকাতদলের অপতৎপরতা আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মলমপার্টিও মরিয়া।
ঈদুল আজহার আগে পশুহাটে যেন শুধু ব্যবসায়ীরাই নন। সারা বছর ধরে গরু মোটাতাজা করে বিক্রি করা ক্ষুদ্রখামারি যেমন থাকেন, তেমনই থাকেন ক্রেতাও। ডাকাতির পাশাপাশি পশুহাট কারবারিদের মলমপার্টি, অজ্ঞানপার্টির উৎপাতের শিকার হতে হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গায় অজ্ঞান করে টাকা হাতিয়ে পালানো ৪ প্রতারকের মধ্যে এক প্রতারক জনতার হাতে ধরা পড়েছে। যদিও গরু ব্যবসায়ীদের হারানো টাকা উদ্ধার এখনও অনিশ্চিত। একই প্রতারকচক্রের একজন যখন ধরা পড়েছে তখন তার নিকট থেকে তার সহযোগীদেরই শুধু নয়, অন্যপ্রতারকদের ডেরারও সন্ধান নিয়ে পুলিশ তা উৎপাটনে সক্ষম হবে বলেই আশাবাদ প্রকাশ করা অমূলক নয়। যদিও দিন দিন এ ধরনের আশাবাদ দিবাস্বপ্নের মতোই হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এরপর ডাকাতির আগেই ডাকাত ধরে আইনে সোপর্দের প্রত্যাশা? সেটাও কয়েক বছর ধরে বাস্তবতার আলোকে অলিক বললে বোধকরি ভুল বলা হয় না। ডাকাতি হওয়া টাকা ক্ষতিগ্রস্তের হাতে পুলিশ এখন আর ফেরত দেয়ার মতো পরিস্থিতি গড়তে পারে না। কেন? বিচক্ষণতায় ঘাটতি নাকি আন্তরিকতায় অভাব? পুলিশের স্বকীয়তায় সাধারণ মানুষও জেগে ওঠে। সহযোগিতার হাত বাড়ান। কোথায় কোথায় ডাকাতি হয়, কোথায় কোনো হাটফেরত ব্যবসায়ীদের জন্য ঝুঁকি তা এখন আর অজানা নয়। যে কাথুলির বটতলা বহুদিনের চিহ্নিত, সেই বটতলায় ডাকাতি হলেও পুলিশের অনুপস্থিতি অন্যরকম অশুভ অক্ষমতারই ইঙ্গিত বহন করে নাকি?
জনসংখ্যা অনুপাতে পুলিশ সদস্য অপ্রতুল। তাই বলে পুলিশ পারে না তা বিশ্বাস করা যায় না। এই পুলিশকেই পারতে হয়, পারতে দেখা যায়। পারার জন্য দরকার হয় দায়িত্বপালনে আন্তরিকতা। পুলিশের সকল সদস্যই পেশাদারত্বে পারদর্শিতা ফুটিয়ে তুলতে অবশ্যই সক্ষম। কিছু কারণে পেয়ে বসা অক্ষমতা অপসারণ প্রয়োজন। প্রয়োজন জনসাধারণেরও বাড়তি সতর্কতা।