রাজ্জাক হত্যা আসামিপক্ষ মামলা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য শাশাচ্ছে!

ফলোআপ: চুয়াডাঙ্গার হরিশপুরে জমি নিয়ে বিরোধ

 

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের হরিশপুর গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুঃসম্পর্কের চাচার হাতে খুন হয় ভাতিজা রাজ্জাক। রাজ্জাক হত্যার ৫ দিন অতিবাহিত হলেও গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির মৃত্যুতে পরিবারে চলছে চাপাকান্না। আসামিপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা করে হুমকি-ধামকির মধ্যে রয়েছে বাদী পক্ষ। এ অভিযোগ করে মামলার বাদীপক্ষ বলেছেন, মামলা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য আসামিদের তরফে নানাভাবে শাসানো হচ্ছে।

জানা গেছে, গত শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের হরিশপুর দক্ষিণপাড়ার বদর উদ্দিনের ছেলে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি আব্দুর রাজ্জাকে (৩২) জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষ বাধে। পিটিয়ে হত্যা গুরুতর আহত করে ইউনুচ গং। হাসপাতালে নেয়ার পর মৃত্যু রাজ্জাকের। নিহত রাজ্জাকের পিতা বদর উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, আমার সন্তানকে আসামিরা পরিকল্পিতভাবে আমার চোখের সামনে পিটিয়ে হত্যা করেছে। পিতার সামনে সন্তানকে পিটিয়ে হত্যা এটা বর্ণনা করা যায় না। আমি হতদরিদ্র মানুষ আমার সন্তান হত্যার সুষ্ঠু বিচার বেঁচে থেকে দেখে যেতে চাই। ঘটনার দিনের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, হরিশপুর বাজারের ওপর ১০ কাঠা জমি আছে। তার মধ্যে ৩ কাঠা জমি জোর করে দখল করে নেয় ইউনুচ গং। এ নিয়ে রাজ্জাক আদালতের আশ্রয় নিলে আদালত ওই জমির ওপর ১৪৫ ধারা জারি করে। আদালতের আদেশ অমাণ্য করে ইউনুচ গং বেড়া দেয়। ঘটনার দিন সকালে রাজ্জাক ওই বেড়া সরাতে গেলে ইউনুচ তার লোকজন নিয়ে রাজ্জাককে বেধড়ক পেটাতে থাকে। রাজ্জাক প্রাণ রক্ষার্থে ছুটছুটি করতে থাকলে তাকে তাড়িয়ে ধরে পেটাতে থাকে। এ সময় আমি উপস্থিত অনেকের নিকট ছেলেকে বাঁচানোর জন্য ছুটে গেলেও ইউনুচ গঙের ভয়ে কেউই এগিয়ে আসেনি। সারা গ্রাম ঘুরে শুনে দেখেন তারা কতোটা ভয়ঙ্কর। এসব কথা বলতে বলতে বদর উদ্দিন শিশুবালকের মতো হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন। সন্তান হত্যার মামলা করে আমার ভাই বিল্লাল হোসেনকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। আসামিরা বলে বেড়াচ্ছে, নাই ১০ বিঘা জমির দাম যাবে তা কি হয়েছে। পথের কাঁটাতো সরে গেছে।

নিতহ রাজ্জাকরা ৪ ভাই ২ বোন। তার মধ্যে রাজ্জাক বড়। ঘরে নববধূ হাতের মেহেদীর রঙ শুকায়নি। মা পাগল প্রায় রাজ্জাকের সন্ধানে ঘুরছেন এ বাড়ি সে বাড়ি। এ বিষয়ে রাজ্জাক হত্যামামরার তদন্তকারী অফিসার এসআই শফিকুল ইসলাম বলেন, ৭ জন এজাহারনামি আসামির একজনকেউ এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে চেষ্টা চলছে।