যশোর জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলনে এরশাদ

 

বলতন্ত্রের কাছে দেশ আজ স্তব্ধ : মানুষ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে

স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মোহম্মাদ এরশাদ বলেছেন, জাতির আজ সবকিছুই বলতন্ত্রের হাতে স্তব্ধ হয়ে গেছে। ভয়াবহ দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছে  দেশের মানুষ। কারোর জীবনেই স্বস্তি  নেই।
জাতীয় পার্টির  চেয়ারম্যান ও  সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন  মোহাম্মদ এরশাদ গতকাল দুপুরে যশোর জিলা স্কুল অডিটরিয়ামে  জেলা জাতীয় পার্টির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

তিনি বর্তমান অবস্থার প্রতি কটাক্ষ করে বলেন, দেশে এমনই সুশাসন চলছে  যে, মায়ের গর্ভে থাকা শিশুরা পর্যন্ত  রেহাই পাচ্ছে না। তাদেরও গুলিতে আহত হতে হচ্ছে। দিনেদুপুরে শিশুকে পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। আর এসব গর্হিত কাজের সাথে যারা জড়িত, ক্ষমতাসীন হওয়ায় তারা সবকিছু  থেকে পার  পেয়ে যাচ্ছে। এরশাদ তার শাসনামলের ফিরিস্তি তুলে বলেন, দেশের এ অবস্থা  থেকে উত্তরণে আজ জাতি আমাদের দিকে  চেয়ে আছে। এজন্য  দেশ ও  দেশের গণতন্ত্রের স্বার্থে জাতীয় পার্টির  নেতাকর্মীদের এগিয়ে আসতে হবে।

জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম সরু চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন দলের মহাসচিব জিয়াউদ্দীন আহমেদ বাবলু, সিনিয়র  প্রেসিডিয়াম সদস্য পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ,  প্রেসেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, আলহাজ তাজ রহমান ও যুগ্ম-মহাসচিব  রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এরশাদ আরও বলেন, দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জাতীয় পার্টি ছাড়া এখন আর  কেউ মাঠে  নেই। অসহায় জনগণের পাশে একমাত্র আমরাই আছি। তিনি বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তারা এখন শিয়ালের গর্তে পালিয়েছে। আর এ সুযোগে আওয়ামী লীগ লুটপাট আর দখলবাজিতে ব্যস্ত। এরশাদ বলেন,  বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনের আগে জনসভায় বলেছিলেন, তিনি ক্ষমতায় গেলে আমাকে জীবিত  জেলে পাঠাবেন এবং মৃত্যুতে বের করবেন। অথচ এখন পর্যন্ত জনগণের ভালোবাসায় আমি বেঁচে আছি। ভবিষ্যতে জাতি দেখতে পাবে- কে জীবিত অবস্থায়  জেলে ঢোকে আর কী অবস্থায় বের হয়।

তিনি বলেন, দেশটাকে বিএনপি-আওয়ামী লীগই ধ্বংস করেছে। আমার আমলের রাস্তাঘাট সব ধ্বংস করে জনগণের চলাচলের পথ রুদ্ধ করা হয়েছে। সম্মেলনে জাপা চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম সরু চৌধুরীকে সভাপতি ও মিনহাজুল আবেদিনকে সাধারণ সম্পাদক করে যশোর জেলা জাতীয় পার্টির কমিটি ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে  নেতৃবৃন্দকে নির্দেশ  দেন।