ফেসবুকে শেখ হাসিনাকে কটূক্তি ॥ যুবদল নেতা ইমনকে জেল হাজতে প্রেরণ

মেহেরপুর অফিস: ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তি করায় কটূক্তিকারী যুবদল নেতা আটক ইমন বিশ^াসকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ আটক ইমন বিশ^াসকে আদালতে হাজির করলে বিজ্ঞ বিচারক তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, জনপ্রিয় সোস্যাল মিডিয়া ‘ফেসবুকে’ নিজের নামের আইডিতে গত রোববার সন্ধ্যায় একটি পোষ্ট দেয় মেহেরপুর শহরের নীলমনি সিনেমাহলপাড়ার আব্দুস সাত্তারের ছেলে ও মেহেরপুর পৌর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ইমন বিশ^াস। পোস্টটি ‘মাসুদ অরুন সৈনিক’ ও আরও ছয়টি আইডির সাথে ট্যাগ করে। পোস্টটিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মিয়ানমারের অং সান সুচির ছবি পাশাপাশি দিয়ে ওই ৩ জনকে নিজ দেশে খুন, গুম ও দাঙ্গার সাথে জড়িত বলে মন্তব্য করে ইমন বিশ্বাস। পোস্টটি শেয়ারের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ফেসবুকে দেখার পর বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং তাৎক্ষণিকভাবে মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বারিকুল ইসলাম লিজন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেহেরপুর-১ আসনের এমপি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেনকে অবহিত করেন এবং তার পরামর্শে ও নির্দেশ মোতাবেক ইমন বিশ^াসকে গ্রেফতার ও তার বিচারের দাবিতে ওই রাতে জেলা ছাত্রলীগ শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এছাড়া পরের দিন প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করে ছাত্রলীগ।
মেহেরপুর সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, ইমন বিশ^াসকে রোববার রাতে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করা হয় এবং গনধোলাইয়ের শিকার ইমন বিশ্বাসকে পুলিশ প্রহরায় মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়। পুলিশ সদর দফতরের অনুমতি পাওয়ার পরে মঙ্গলবার মেহেরপুর সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান ওপুর দায়ের করা তথ্য প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ (২) ধারায় মামলাটি রেকর্ড হয়। তিনি আরও বলেন, চিকিৎসা শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে ইমন বিশ্বাসকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে এসআই আব্বাসকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।