প্রতিটি উপজেলায় কারিগরি প্রতিষ্ঠান হবে : শেখ হাসিনা

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কারিগরি প্রতিষ্টান স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনটি মহিলাসহ ২৫টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউশান চালু করা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দেশে বৃত্তিমূলক শিক্ষা সম্প্রসারণ করাই এর লক্ষ্য। আমরা প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কারিগরি প্রতিষ্টান প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে বৃত্তিমূলক শিক্ষা সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। খবর বাসস।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে টেকসই উন্নয়নের জন্য কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ (টিভিইটি) সংক্রান্ত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ ডিপ্লোমা প্রকৌশল ইনস্টিটিউট (আইডিইবি) এবং কলম্বো প্লান স্টাফ কলেজের (সিপিএসসি) যৌথ উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনের উদ্বোধীন অধিবেশনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলন স্টীয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান আইডিইবির প্রেসিডেন্ট একেএমএ হামিদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

সিপিএসসির মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ নাইন ইয়াকুব অনুষ্ঠানে কো-চেয়ারম্যান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সম্মেলনের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য সচিব এবং আইডিইবি’র সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুর রহমান শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। প্রধানমন্ত্রী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভিত্তিক শিক্ষার উন্নয়নে তার সরকার গৃহীত পদক্ষেপের উল্লেখ করে বলেন, তার সরকার শিক্ষানীতিতে বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখনি দেশ পরিচালনার সুযোগ পেয়েছে, তখনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভিত্তিক শিক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে।

তিনি বলেন, গত ছয় বছরে তাঁর সরকার সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে তিনটি মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ প্রায় ৪শ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছে। এ সকল ইনস্টিটিউট থেকে মাধ্যমে প্রকৌশলী বেরিয়ে আসবে। শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারই প্রথম দেশে ১ হাজার ৮শ বেসরকারি বিদ্যালয়ে এসএসসি (ভকেশনাল) কোর্স চালু করেছে। তিনি বলেন, ৫১টি সরকারি পলিটেকনিকে দ্বিতীয় শিফট চালু করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ৩৭টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি করতে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে এবং বিদেশগামী শ্রমিকদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণের জন্য আরো ৩০টি টেকনিকেল ট্রেনিং সেন্টার চালু করার অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি বলেন, সরকার ঢাকা টেক্সটাইল কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয় করেছে। তিনি বলেন, পাশাপাশি ৬টি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট আধুনিকায়ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই প্রতিটি পুরাতন জেলায় একটি করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আইএলও’র সহযোগিতায় জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতি গ্রহণ করেছে। জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কাউন্সিল এ্যাকশন প্লান বাস্তবায়ন হচ্ছে। তিনি বলেন, কর্মসূচি ইতোমধ্যেই ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে।