দেবপ্রিয়র ব্যাংক হিসাব তলব

স্টাফ রিপোর্টার: বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এবং তার স্ত্রী ইরিনা ভট্টাচার্যসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের সব ধরনের ব্যাংক হিসাব ও বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবের তথ্য তলব করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
গত সোমবার সব ব্যাংক ও সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) কাছে এ তথ্য চেয়ে পৃথক চিঠি দিয়েছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)। ২০০৮ সালের জুলাই মাস থেকে হালনাগাদ তথ্য ৭ দিনের মধ্যে সিআইসি’র সহকারী পরিচালক মো. নাছির উদ্দিনের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো চিঠিতে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ও তার স্ত্রী এবং তাদের পরিবারের অন্য সদস্যদের একক বা যৌথ নামে পরিচালিত যেকোনো মেয়াদি আমানত হিসাব, সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব, ঋণ হিসাব, বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব, ক্রেডিট কার্ড, সঞ্চয়পত্র বা অন্য যেকোনো ধরনের সেভিংস ইন্সট্রুমেন্ট, ইনভেস্টমেন্ট স্কিম বা ডিপোজিট স্কিম বা অন্য যেকোনো ধরনের বা নামের হিসাব থাকলে ২০০৮ সালের ১ জুলাই থেকে হালনাগাদ বিবরণী ও ঋণের বিপরীতে রক্ষিত জামানতের বিবরণী চিঠি প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে। এমনকি আগে ছিলো কিন্তু বর্তমানে বন্ধ হয়ে গেছে এমন হিসাবের তথ্যও পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে ওই চিঠিতে।
একইভাবে সিডিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে দেয়া চিঠিতে যেকোনো বিও হিসাব পরিচালিত বা রক্ষিত হয়ে থাকলে হালনাগাদ তথ্য জানাতে বলা হয়েছে। ১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশের ১১৩ (এফ) ধারা অনুযায়ী এ চিঠি দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তথ্য দেয়া না হলে আয়কর অধ্যাদেশের ১২৪ (২) অনুসারে এককালীন ২৫ হাজার টাকা ও পরবর্তী প্রতিদিনের জন্য ৫০০ টাকা হারে জরিমানা প্রযোজ্য হবে। এ ছাড়া ১৬৪ (সিসি) অনুসারে অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ড আরোপের লক্ষ্যে ফৌজদারি কার্যক্রম গ্রহণ করার কথাও বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে গতকাল বুধবার রাতে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আইনানুগভাবে যা করার প্রয়োজন মনে করবে, তা অবশ্যই করবে। তবে এই অভিজ্ঞতা আমার জন্য নতুন কিছু না। ২০০৩-০৪ সালে বিএনপি সরকার অর্থনীতির ওপর আমার বিভিন্ন মন্তব্যে অসন্তুষ্ট হয়ে অনুরূপ পদক্ষেপের মাধ্যমে আমাকে হয়রানি করে। চলতি অর্থবছরের অর্থনীতির হালনাগাদ পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে গত রোববার সংবাদ সম্মেলন করে সিপিডি। বিশ্লেষণের রাজস্ব অংশে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে ৪০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি হতে পারে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করে এ বিশ্লেষণ করা হয়েছে বলে সিপিডি সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করে।