দীর্ঘ ৪ মাস পর সৌদি আরবের বন্দিদশা থেকে কোটচাঁদপুরের হাজেরা বেগম উদ্ধার

মহেশপুর প্রতিনিধি: কোটচাঁদপুর উপজেলার সলেমানপুর গ্রামের হাজেরা বেগম অবশেষে মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোর ও আরডিসির যৌথ উদ্যোগে সৌদি আরবের বন্দিদশা থেকে উদ্ধার হয়ে দেশে ফিরেছেন।

থানা ও ভিকটিমের পরিবারসূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সলেমানপুর গ্রামের অসহায় ভ্যানচালক খোকনের স্ত্রী হাজেরা বেগম (৪০) উন্নত জীবনের আশায় দালালদের খপ্পরে পড়ে সৌদি আরবে পাচার হয়ে যায়। প্রায় ৪ মাস বন্দি জীবন যাপন শেষে গত ১২ ফেব্রুয়ারি মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোর ও আরডিসি যৌথ উদ্যোগে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরিক্ষা ও আদালতে জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। ভিকটিম হাজেরা সোমবার মানবাধিকার সংগঠন আরডিসির অফিসে বন্দিদশার করুণ কাহিনী চোখের জলে বর্ণনা করে। এ সময় হাজেরা  বলেন সেসহ প্রায় ৪০-৫০ জন মহিলাকে একটি ঘরে আটকে রেখে প্রতি রাতেই অন্যত্র নিয়ে গিয়ে খরিদ্দারের কাছে মনোরঞ্জনের জন্য বিক্রি করা হতো এবং ভোর রাতে তাদেরকে আবার ওই স্থানে ফিরিয়ে নিয়ে আনা হতো। তাদের বেশির ভাগ সময় কাটতো অনাহারে। তাদের আর্তচিৎকারে বাতাস ভারী হলেও পাশানণ্ডদের হৃদয় একটুও গলেনি। এধরনের অনেক করুণ চিত্র হাজেরা প্রকাশ করে যা পত্রিকার পাতায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এই করুণ চিত্র তার পরিবারের কাছে পৌছুলে তার স্বামী খোকন ও ছোট বোন মনি মানবাধিকার সংগঠন আরডিসির সাথে যোগাযোগ করলে রাইটস যশোরের মাধ্যমে তাকে উদ্ধার করে আনা হয়। গত বছরের ১৫ নভেম্বর কোটচাদপুর থানায় তার স্বামী খোকন বাদী হয়ে মানব পাচার  প্রতিরোধ ও দমন আইনে একটি মামলা রুজু হয়। হাজেরা বেগম দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শান্তির দাবি জানিয়েছে।