জীবননগর হাসাদহে ২ বিকাশ এজেন্টের কাছ থেকে অভিনব কায়দায় টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকচক্র

হাসাদাহ প্রতিনিধি: হ্যালো, বিকাশ অফিস থেকে মার্কেটিং অফিসার বলছি। আপনার বিকাশ নম্বরের হেল্পলাইনে ঢুকুন। ঢুকেছেন? হ্যা বলতেই জানানো হলো, আপনার বিকাশ নম্বরটি লটারি জিতেছে। আপনার বিকাশে এখন ব্যালেন্স কতো? তা জানাতেই কয়েকটি অপশনে যেতে বললো। তাতে ঢোকার পর বলা হলো- ৫ মিনিটের মধ্যে আপনার অ্যাকাউন্টে ৩০ হাজার টাকা জমা করুন। লাইনটা কেটে দিলো।
চুয়াডাঙ্গা জীবননগরের হাসাদহের মিউজিক টেলিকমের স্বত্বাধিকারী বিকাশ ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজু প্রতারকদের কথায় কান দিয়ে বিকাশ অ্যাকাউন্টের ১০ হাজার ৩৮৭ টাকা হারিয়ে উপরোক্ত বর্ণনা দেন। একই বাজারের সোলার অ্যানার্জি অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্সের স্বত্বাধিকারী শান্তও অভিন্ন কৌশলের কাছে আত্মসমর্পণ করে হারিয়েছেন টাকা। গতপরশু ০১৮৮৪৩১১৫৮৪, ০১৭৫৩১১৬১৫১ দিয়ে প্রতারণা করা হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান ফিজুর বলেন, উপরোক্ত নম্বর দিয়ে প্রতারকচক্র আমাকে ফোন করে বলে, আমি বিকাশ অফিস থেকে মার্কেটিং অফিসার বলছি, আপনার (আমার) বিকাশ অপশনে ঢুকতে হবে। তার কথামতো আমি অপশনে ঢুকে ৭ নম্বর অপশনে ক্লিক করি। এরপর আমি তার কথামতো পরপর দুইবার হেল্প লাইনে যাওয়ার পরে সে আমাকে বলে বিকাশ এজেন্ট নম্বর থেকে এজেন্ট নম্বরে লটারির মাধ্যমে ভাগ্যবান ব্যক্তিদের মধ্যে এই টাকা ট্রান্সফারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার মধ্যে লটারি বিজয়ীর আপনি একজন। এরপর আমার অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স সম্পর্কে জানতে চায়। আমি ব্যলেন্স জানালে তারা আমাকে দ্রুত ৩০ হাজার টাকা আমার নিজস্ব বিকাশ অ্যাকাউন্টে লোড দেয়ার জন্য ৫ মিনিট সময় নির্ধারণ করে দেয়। এরপর যখন সে আমাকে লটারির কথা বলে তখন আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেও তাদের প্রলোভনের ফাঁদে পা দিয়ে তাদের কথামতো অপশনগুলো চালু করি এবং যখন বুঝতে পারি তখন আমার সর্বনাশ হয়ে গেছে। অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স চেক করে দেখি আমার ব্যালেন্স থাকা ১০ হাজার ৩৮৭ টাকা এর মধ্যে কোনো টাকা নেই। একই ঘটনার শিকার ওই বাজারের সোলার অ্যানার্জি অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্সের স্বত্বাধিকারী বিকাশ ব্যবসায়ী শান্তর কাছ থেকে ৫ হাজার ৩০০ টাকা হাতিয়ে নেয়। ভুক্তভোগীরা বলে, যে আমাদের মতো লোভে পড়ে কোনো ব্যক্তি যেন এমন প্রতারণার শিকার না হন।