চেম্বার নির্বাচনে আলাউদ্দিন হেলা-দেলোয়ার উদ্দিন পরিষদের পক্ষে দোয়া চাইলেন সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান লাভলু

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিকে বেগবান ও গতিশীল করতে সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছেন আলাউদ্দিন হেলা-দেলোয়ার উদ্দিন জোয়ার্দ্দার দুলু পরিষদের পক্ষে চেম্বারের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান লাভলু। গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১০টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ দোয়া চেয়ে স্বপক্ষে যুক্তি মেলে ধরেন। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও জবাব দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আলাউদ্দিন হেলা-দেলোয়ার উদ্দিন জোয়ার্দ্দার প্যানেলের পক্ষে সাইফুল হাসান জোয়ার্দ্দার টোকন, জাহিদুল হাসান জোয়ার্দ্দার, মো. সালাউদ্দিন, আব্দুল মান্নান নান্নু, হাজি আবুল কালাম, মাহবুবুল আলম রিংকু, ইলিয়াস হোসেন, ওহিদুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার, মফিজুর রহমান মনা, আবু সাইদ মো. আহসানুজ্জামান বাবু ও মানিকউজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে হাবিবুর রহমান লাভলু বলেন, ১৯৮৫ সালে চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিষ্ঠা হয়। ১৯৮৫ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত চেম্বারের গঠনতন্ত্র মোতাবেক নির্বাচন পরিচালিত হয়েছে। কিন্ত ২০১৫ সালের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সির্বাচনের পূর্বে ইয়াকুব হোসেন মালিক নেতৃত্বাধীন পরিষদের অধিকাংশ পরিচালক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আইন অনুযায়ী নির্বাচনের প্রার্থীরা অযোগ্য হওয়ার কারণে ওই পরিষদ বিশেষ সাধারণসভা ইজিএম এর মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত আইন সংশোধনের মাধ্যমে ইয়াকুব হোসেন প্যানেল নির্বাচনে যোগ্য হতে চেয়েছে। কিন্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আইন কখনো কোনো চেম্বার বিশেষ সাধারণসভা করে পরিবর্তন করতে পারে না। এ বিষয়ে পাল্টাপাল্টি মামলা রয়েছে। এছাড়া, ইয়াকুব হোসেন প্যানেলের ১৫ জন পরিচালক প্রার্থী ২০১৮-২০২০ সালের নির্বাচনের প্রার্থিতায় যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের কাছে লিখিতভাবে আবেদন জানালেও তারা তা আমলে নেননি। পরবর্তীতে আপিল বোর্ডের নিকট নিয়মতান্ত্রিক আবেদন করলেও আপিল বোর্ড বিষয়টি আমলে নিলেও তা অগ্রাহ্য করেন। গত বছরের ১১ ডিসেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মিরাজুল ইসলাম উকিল কর্তৃক পত্রে প্রকাশিত গেজেটটি কার্যকর করার জন্য আদেশক্রমে অনুরোধ করেছেন। কিন্ত সেই আদেশটিকে অবজ্ঞা করা হয়েছে।
হাবিবুর রহমান লাভলু আরও বলেন, চেম্বার অব কমার্স ব্যবসায়ীদের ফাদারস সংগঠন। যা সরকারের প্রশাসনের সাথে বার্গেনিং করার আইনগত অধিকারী। এটা ব্যবসায়ীদের জন্য বটগাছের ছায়ার মতো একটি সংগঠন। কিন্ত আজ বর্তমান চেম্বারের এই পরিষদের নিস্ক্রিয়তা যেমন চুয়াডাঙ্গার সকল ব্যবসায়ীদের কে হতাশ করেছে, তেমনি চেম্বারের বর্তমান পরিষদের নির্লিপ্ত নিস্ক্রিয়তার কারণে ব্যবসায়ীরা কূল-কিনারা না পেয়ে দোকান মালিক সমিতির ভূমিকার প্রতি আস্থা জ্ঞাপন করেছেন।
প্রসঙ্গত: চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন আগামী ২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ১৪টি সাধারণ সদস্য ২৭ জন এবং ৫টি সহযোগী সদস্য পদে ৭ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করছেন।