চেম্বার নির্বাচন নিয়ে স্বার্থান্বেষী মহল অপপ্রচারে মেতেছে বলে অভিযোগ তুললেন বর্তমান সভাপতি ইয়াকুব হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন নিয়ে যে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা একশ্রেণির স্বার্থান্বেষীমহল তাদের নিজ স্বার্থের কারণে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ইয়াকুব হোসেন মালিক। এসময় ইয়াকুব হোসেন মালিক-শাহারিন হক মালিক পরিষদের পক্ষে সকলের সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সালাউদ্দিন মো. মোর্তুজা, মনজুরুল আলম মালিক লার্জ, একেএম সালাউদ্দিন মিঠু, মো. শামসুজ্জামান খোকন, মাহফুজুর রহমান জোয়ার্দ্দার মিজাইল, নীল রতন সাহা, আরিফ হোসেন জোয়ার্দ্দার সোনা, পবিত্র কুমার আগরওয়ালা, হারুন অর রশিদ, এএনএম আরিফ ও মাহবুল ইসলাম সেলিম উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে ইয়াকুব হোসেন মালিক বলেন, চুয়াডাঙ্গা চেম্বারের উন্নয়ন, গণতন্ত্র ও নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য একশ্রেণির স্বার্থন্বেষীমহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। যা চেম্বার উন্নয়নে অন্তরায়। গত ২০০২ সালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অফিস আদেশে ১৫০ দিনের মধ্যে বিশেষ সাধারণসভা আহবান করে প্রত্যেক চেম্বার তাদের নিজ নিজ গঠনতন্ত্র সংশোধন করার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু চেম্বারের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান লাভলু গঠনতন্ত্র তৈরি না করে তিনি নিজে ১২ বছর চেম্বারের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩-২০১৫ সালের নির্বাচনে ইয়াকুব হোসেন মালিক পরিষদ নিরঙ্কুশ জয়লাভ করে। ওই সময়ে চেম্বার পরিচালনার জন্য তখনকার বিধি অনুযায়ী কোনো গঠনতন্ত্র নেই। বিধি সম্মতভাবে ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত বিশেষ সাধারণসভায় একটি গঠনতন্ত্র উপস্থাপন করা হলে, তা সর্বসম্মতভাবে অনুমোদিত হয়।
বর্তমানে বিধি অনুযায়ী গত ১২ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার একটি নির্বাচনী তফশিল ঘোষণা করেন। ৪ জানুয়ারি দাখিলকৃত মনোনয়পত্র নির্বাচনী বোর্ড সকল প্রার্থীর প্রার্থিতা বৈধ বলে ঘোষণা করেন। একইদিনে চেম্বারের বর্তমান নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ৫ জন প্রার্থীর স্বাক্ষরিত বৈধ ১৫ জন প্রার্থিতা অবৈধ মর্মে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেন। নির্বাচন কমিশনার অভিযোগটি আমলে না নিলে আপিল বোর্ডের নিকট প্রেরণ করেন। আপিল বোর্ডও আবেদনটি যাচাইবাছাই করে অভিযোগটি খারিজ করে দেন।
ইয়াকুব হোসেন আরও দাবী করেন, সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পন্থায় চেম্বারের স্বার্থে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বর্তমান নির্বাচন পরিচালনার জন্য নির্বাচনী পরিচালনা বোর্ড গঠন করি।
সকল নিয়ম মেনে গঠনতন্ত্র মোতাবেকই নির্বাচনী তফশিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড। নির্বাচনে সম্মানিত ভোটারগণ তাদের রায় দেবেন। সুষ্ঠু সুন্দর ও নিরপেক্ষ পরিবেশে যখন নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখন একটি স্বার্থান্বেষী মহল নানা চক্রান্তই শুধু করছে না, তারা মনগড়া সব যুক্তি খাড়া করে প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করছেন। সভাপতি এসব বক্তব্য দিয়ে নির্বাচনে সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করে বলেন, সংগঠনটি আরো গতিশীল করতে আমাদের চেষ্টায় কমতি নেই। কোনো মহলের অপপ্রচারে কান না দেয়ারও আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, কোনো সময় চেম্বার কতোটা সক্রিয় তা চুয়াডাঙ্গাবাসীর কাছে নতুন করে বলার অবকাশ রাখে না।
প্রসঙ্গত: চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন আগামী ২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ১৪টি সাধরণ সদস্য পদে ২৭ জন এবং ৫টি সহযোগী সদস্য পদে ৭ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করছেন।