চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় সেবা নিতে আসা নাগরিকদের সাথে দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন কাজী শরীফুল ইসলাম

 

পৌরসভা হচ্ছে নাগরিকদের সেবা পাওয়ার স্থান। বর্তমান মেয়রেরও নির্দেশনা আছে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার। কিন্তু নাগরিক সেবা না দিতে পৌরসভায় আসা আগন্তিকদের সাথে অশোভন আচরণ করার প্রতিবাদ করার কারণেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মনগড়া অভিযোগ দায়ের করেছেন পৌরসভার টিকাদান সুপারভাইজার আফরোজা পারভীন। নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন পৌরসভার সচিব কাজী শরীফুল ইসলাম।

তিনি প্রতিবাদলিপিতে দাবি করেছেন, গত মঙ্গলবারের ঘটনাটি পৌরসভার সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এমনকি পৌর মেয়রও অবগত আছেন। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে আফরোজা পারভীন টিকাদান সুপারভাইজারের দায়িত্ব পালনকালে বিশেষ করে জন্ম নিবন্ধন সনদ ইস্যুকালীন সময়ে অশালীন ভাষা, সেবা গ্রহণকারী সম্মানিত নাগরিকদের সাথে দুর্ব্যবহার করত এবং পৌর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে বিরূপ মন্তব্য করায় পৌর কর্তৃপক্ষ তাকে উক্ত টিকাদান সুপারভাইজারের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়। পরবর্তীতে পৌর কর্তৃপক্ষ এক আদেশে তাকে নাগরিক সনদপত্র প্রদানের দায়িত্ব দেয়। ওই আদেশ আমি করেয়েছি এমনটি ভেবে বেশ কিছুদিন থেকেই আফরোজা পারভীন আমার ওপর ব্যক্তিগত আক্রোশে আক্রমানাত্মক কথার্বাতা ও বিভিন্ন সময়ে গালিগালাজ করতেন। বিষয়টি আমি বুঝেও না বুঝার ভান করে চলতাম। গত মঙ্গলবারও পৌরসভায় নাগরিক সনদ নিতে আসা মানুষদের সেবা না দিতে তাদের সাথে দুর্বব্যবহার শুরু করে এবং আমাকে অশালীন ভাষায় গালাগাল দিতে থাকে। বিষয়টি আমার নজরে এলে প্যানেল মেয়র-১ একরামুল হক মুক্তাকে সাথে নিয়ে লাইন্সেস পরিদর্শকের কক্ষে তার অবস্থান জেনে সেখানে উপস্থিত হয়ে গালিগালাজের কারণ জিজ্ঞাসা করায় তিনি আমার ওপর চড়াও হয়ে ওঠেন এবং অশালীন কথাবার্তা বলেন। সেখানে প্যানেল মেয়র-১ কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মনি, লাইন্সেস পরিদর্শক মুহাইমিন পলাশ উপস্থিত ছিলেন। কুপ্রস্তাব দিয়ে অশালীন কথাবার্তা বলা, চুলের মুঠি ধরে কিলঘুষি মারা, শানের ওপর ফেলে দিয়ে সহকর্মী দ্বারা উদ্ধার করার প্রশ্নই আসে না। বিষটি পুলিশ বুধবার সরেজমিনে তদন্তে এসেও আফরোজা পারভীনের অভিযোগের কোনো সত্যতা পাননি পুলিশ। গতকাল বুধবার সকালে সদর থানার দারোগা শরীফ বিশ্বাস ও অনুপ কুমার মঙ্গলবারের ঘটনা সম্পর্কে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে কথা বললে তারা সবাই প্রকৃত ঘটনা পুলিশের কাছে তুলে ধরেন। আমি মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও হাস্যকর অভিযোগ করায় আফরোজা পারভীনের শাস্তি দাবি করছি।

আমি কাজী শরিফুল ইসলাম বিগত ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত এবং পরবর্তীতে ২০০৮ সাল থেকে আজ পর্যন্ত সচিব হিসেবে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা অতি সুনামের সাথে চাকরি করে আসছি। পত্রিকায় মিরাজুল ইসলাম কাবার অভিযোগের প্রেক্ষিত যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর, কু-মতলবী ও  মনগড়া এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। অফিস চলাকালীন সময়ে যদি পত্রিকায় উল্লেখিত ঘটনার বহির্প্রকাশ হতো তাহলে চাকরি বিধি মোতাবেক পৌর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হওয়া বাঞ্ছনীয় ছিলো। আফরোজা পারভীন টিকাদান সুপারভাইজার ওই ঘটনার বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ বরাবর কোনো অবগত বা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেননি। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার মানসে তার স্বামীর ভাইয়ের দ্বারা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।